তিন বছর আগের সেই অভিশপ্ত রাতই যেন ফিরে এল শনিবার। সেবার দর্শকশূন্য মাঠে প্রথমে এগিয়ে গিয়েও হারতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। এবারও আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের একই পরিণতি। তবে এবার ৬২ হাজার দর্শকের সামনে। ঘরের মাঠে হাতছাড়া ত্রিমুকুট। শনিবাসরীয় যুবভারতীতে আইএসএল ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসির কাছে ফের হারল সবুজ মেরুন। এক গ🌄োলে এগিয়েও তিন গোল হজম। লজ্জায় মাথা নত করে মাঠ ছাড়লেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা।
মোহনবাগান এদিন যে বিশ্রি ফুটবল খেলেছে, ম্যাচের পর স্বীকার করে নেন আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এগিয়ে গেলেও, প্রতিপক্ষের চেয়ে ভালো খেলতে পারিনি। মুম্বই আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। সেই জন্য ওদের অভিনন্দন। ওদের আমরা চাপে ফেলতেই পারিনি। মুম্বই বরং অনেক সোজা এবং স্বাভাবিক ফুটবল খেলেছে। আমরা ওদের চাপে ফেলার সুযোগই পাইনি। ওরা ডিফেন্স করার পর বারবার আক্রমণে উঠেছে। কিন্তু আমরা ওদের আটকাতে পারিনি। নিজেদের বক্সে ওদের আটকানো উচিত ছি♔ল আমাদের। কিন্তু আমরা তা পারিনি। এটা ওদের কৃতিত্ব অবশ্যই। আমাদের আরও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে খেলা উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: রক্ষণই ডোবাল মোহনবাগাꦐনকে, মুম্বইয়ের কাছে ১-৩ হার, ত্রিমুকুটের স্বপ্নভঙ্গ সবুজ-মেরুনের
তবে এর জন্য নাগাড়ে ফুটবল খেলার ক্লান্তিকেই দায়ী করেছেন হাবাস। বলেছেন, ‘আমরা নাগাড়ে পাঁচটা ফাইনাল খেলেছি। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে, লিগের শেষ ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে, তার পরে ওডিশার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে এবং আজ ফাইনালে। আমাদের ছেলেরা তাই মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এ ছাড়া মুম্বই খেলার মাঝেꦿ একাধিক ভালো ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আমরা পারিনি।’
গত ম্যাচের তুলনায় এ দিনের পারফরম্যান্সের তফাৎ নিয়ে বলতে গিয়ে বাগানের স্প্যানিশ কোচের দাবি, ‘অন্য দিন আমাদের ছেলেরা রক্ষণ এবং আক্রমণ দু💧ই-ই একসঙ্গে করেছে। কিন্তু আমাদের ছেলেরা এই ম্যাচে আক্রমণে উঠলে, আর রক্ষণে ঠিকমতো নামতে পারেনি বা রক্ষণে নামলে ঠিক মতো আক্রমণে উঠতে পারেনি। এই সমস্যাই হয়েছে। মনবীর, লিস্টন🌼দেরও নেমে এসে ডিফেন্স করতে হয়েছে। কারণ, রক্ষণে নির্দিষ্ট কেউ দায়িত্ব নিতে পারেনি।’ মোদ্দা কথা, ঘুরিয়ে রক্ষণকে দায়ী করেছেন হাবাস।
আরও পড়ুন: মেলবোর্ন সিটির তারকাকে বছরে প্রায়🉐 ২.৮ কোটির প্রস্ত𝓰াব দিল মোহনবাগান, টানাটানি করছে মুম্বইও
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে হাবাস বলেছেন, ‘সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে। এই ম্যাচে জয় দিয়ে শেষ করে ওদের কাছে বিদায় নিত𒉰ে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা হল না। হার-জিত নিয়েই ফুটবল। ফাইౠনাল পর্যন্ত দলের ছেলেরা অনেক লড়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত ম্যাচ ওদের মানসিক ভাবে ক্লান্ত করে তুলেছে।’
আর্মান্দো সাদিকুর কার্ড সমস্যা না হলে ফল অন্য রকম হলেও হতে পারত বলে মনে করেন সবুজ-মেরুন কোচ। বলেওছেন, ‘সাদিকু থাকলে হয়তো আম🥃রা আক্রমণে আরও তীব্রতা আনতে পারতাম। কিন্তু এটা তো আমাদের হাতে ছিল না। এটা ঠিকই যে আর্মান্দো, জেসনের চেয়ে ও আরও বেশি আগ্রাসী।’
অন্যদিকে, মোহনবাগানকে হারিয়ে তৃপ্ত মুম্বই সিটি এফসি-র কোচ পিটার ক্রাটকি। তিনি বলে দেন, ‘এই জয়ের মানে আমরা ঠিক পথেই হেঁটে এসেছি। এই মরশুমে আমাদের অনেক কঠিন সময় এসেছে। সেই সব সময় আমরা সামলে এই জায়গায় এসেছিলাম। লিগের শেষ ম্যাচে এত দর্শকের সামনে আমরা হেরে যাওয়ার পর, সেই হার♔ থেকে অনেক কিছু শিখি। সেই শিক্ষা কাজে লাগিয়েই এদিন জিততে পেরেছি। ফুটবলে চড়াই-উতরাই আসেই। কিন্তু সে সব সামলাতেই হয়। এই দলটার জন্য আমি গর্বিত। ক্লাবের কাছে এটা বিরাট প্রাপ্তি।’
সৌজন্য দেখিয়ে বাগানের প্রশংসা করে ক্রাটকি বলেন, ‘মোহনবাগান যথেষ্ট ভালে দল। ওদের দিমি পেত্রাতোস যে কোনও সময়ে গোলে শট নিতে পারে। তিন সপ্তাহ আগের ম্যাচের চেয়ে আজ আমাদের পরিকল্পনা অন্য রকম ছিল। ছেলেরা সেটা কার্যকরী করতে পেরেছে বলে জিততে পেরেছি আমꦍরা।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘মোহনবাগান অনেক দুঃসময় পেরিয়ে এসেছে। মরশুমের প্রথম দিকে ওদের অনেক চোট-সমস্যা ছিল। তা সত্ত্বেও ওরা শিল্ড জিততে পেরেছে, ওদের দলটা খুবই ভালো বলে। শিল্ড জয়ের ম্যাচে ওরা আমাদের চেয়ে অনেক ভালো খেলেছিল। ওদের জয় প্রাপ্য ছিল। তাই ওদের শ্রদ্𒀰ধা করি। ওদের কোচ, খেলোয়াড়রা যথেষ্ট ভালো। এই ম্যাচে আমরা ভালোဣ খেলেছি। কলকাতার মানুষকেও ধন্যবাদ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।