এতিহাদ স্🌸টেডিয়াম যেন একটাই শব্দব্রহ্ম শোনা যাচ্ছিল- হালান্ড, হালান্ড আর হালান্ড। লিপজিগের বিরুদ্ধে আর্লিং হালান্ড একাই ৫ গোল করে নয়া রেকর্ড গড়েছেন। একই সঙ্গে এই জয়ের ফলে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি পৌঁছে গেল উয়েফা চ্যা🦋ম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে। আরবি লিপজিগের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ ব্যবধানে জিতল সিটি।
লিপꦅজিগের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-১ ড্র করার পর পেপ গুয়ার্দিওলার মজা করে বলেছিলেন, পরের লেগে ৯ জন স্ট্রাইকার খেলাবেন। কে জানে, কোচের কথা শুনে আর্লিং হালান্ড হয়তো মনে মনে হেসেছিলেন! হয়তো ভেবেছিলেন, আমি থাকতে আ꧋বার ৯ জন লাগে নাকি!
সত্যিই হালান্ডের মতো কেউ থাকলে আর কোনও স্ট্রাইকার না থাকলেও চলে। ঘরের মাঠে লিপজিগকে পেয়ে ২২ বছরের তরুণ যেন একাই ৯♐ স্ট্রাইকারের শক্তি নিয়ে জেগে উঠলেন। গোল-উন্মাদনায় ইতিহাদকে উপহার দিয়েছেন স্মরণীয় এক রাত। এক আধটা নয়, হ্যাটট্রিক সহ পাঁচ গোল করে ফেলেছেন হালান্ড। তিনি মরশুমের পঞ্চম হ্যাটট্রিক আদায় করে নেন বিরতিতে যাওয়ার আগেই। ৬৩ মিনিটে পেপ গুয়ার্দিওলা তাঁকে তুলে জুলিয়ান আলভারেজকে নামান। তা না হলে গোলের এই ফল্গুধারা যে কোথায় গিয়ে থামত, তা কে জানে!
আরও পড়ুন: ISL-এর সেরা কিপার হয়েও স্টিমাচের ২৩ জনের✃ দলে🌸 নেই বিশাল, রয়েছেন ATKMB-র ২ ফুটবলার
তবে তার আগেই এতিহাদের সবুজ গালিচায় হালান্ড যা করলেন, তা ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে থাকবে বহু দিন। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ৭-০ গোলꦫে জয় (দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১) পায়। ৭ গোলের মধ্যে ৫টি হালান্ডের, বཧাকি ২টি গোল ইকে গুন্দোগান এবং কেভিন ডি' ব্রুইনের।
প্রথম লেগে ১-১ গোলে সিটিকে রুখে দ✃িলেও, এ দিন প্রথমার্ধের শুরুর খেলাটা ছিল একপেশে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির একের পর এক আক্রমণ হজম করে যাচ্ছিল লিপজিগ। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে সিটি। তাদের আক্রমণের দাপটে তাল রাখতে না পেরে ডি-বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করে বসেন লিপজিগের হেনরিকস। পেনাল্টি পায় সিটি। স্পট কিকে হালান্ডের শট রুখতে পারেননি লিপজিগের গোলরক্ষক। প্রথম গোলের মাত্র ৭৭ সেকেন্ড পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হালান্ডই। প্রথমে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কেভিন ডি' ব্রুইনের বুলেট শট বারে লেগে ফিরে আসলে ফিরতি বলꦆ হেডে জালে জড়ান হালান্ড।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে মনে রাখতে হয় সেটপিসের ব্যাকরণ- ATKMB-র সাফল্যের রহস্য ফাঁস ফ▨েরান্দোর
পরপর গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করলেও সুবিধে করতে পারেনি লিপজিগ। উল্টে ৩১ মিনিটে গোল খেতে খেতে বেঁচেছে জার্মান ক্লাবটি। লিপজিগ গোলরক্ষক ঠেকিয়ে না দিলে হ্যাটট্রিক পেয়ে যেতে পারতেন হালান্ড। একটু পর অবশ্য নিজেদের ভুলে গোল খেতে খেতে বাঁচে সিটিও। তবে প𒊎্রতি-আক্রমণ থেকে হাতে গোনা কিছু সময়ে হুটহাট বিপদ তৈরির চেষ্টা ছাড়া প্রথমার্ধে সিটিকে বিপদে ফেলার মতো আর কিছুই করতে পারেনি লিপজিগ। অন্য দিকে বিরতিতে যাওয়ার আগের মুহূর্তে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন হালান্ড। ডি' ব্রুইনের কর্নার থেকে জোরালো হেডে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন রুবেন ডিয়াজ। কিন্তু ডিয়াজের হেড গোললাইন থেকে ফেরৎ এলে, সেই বল💛 জালে জাড়ান হালান্ড। সেই সঙ্গে তিনি বিরতির আগেই হ্যাটট্রিক করে ফেলেন। ৩-০ এগিয়ে যায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটিও।
বিরতির পর ৪ মিনিটের মধ্যে সিটির চতুর্থ গোল। জ্যাক গ্রিলিশের সহায়তায় গোল করেন গুন্দোগান। এর পর ৫৩ মিনিটে জটলার ভিতর থেকে ফিরতি বল ধরে দলের হয়ে পঞ্চম এবং নিজের চতুর্থ গোলটি আদায় করে নেন হালান্ড। এটি ছিল এই মরশুমে সিটির হয়ে করা হালান্ডের ৩৮তম গোল। এর আগে ১৯২৮-২৯ মরশুমে সি⛦টির হয়ে ৩৮ গোল করেছিলেন টমি জনসন। তার পর সেই নজির শুধু স্পর্শই করেননি ২২ বছরের হালান্ড, বরং ছাপিয়ে গিয়েছেন।
নিজের চতুর্থ গোলের ৪ মিনিটের মধ্যে পঞ্চম গোল করে হালান্ড। যার ফলে তিনি এই মুহূর্তে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এক ম্🦄যাচে ৫ গোল করা তৃতীয় খেলোয়াড় হলেন। এর আগ🍌ে ২০১২-তে বার্সেলোনার হয়ে লিওনেল মেসি এবং ২০১৪ সালে শাখতার দনেস্কের হয়ে এই কীর্তি গড়েছিলেন লুইস আদ্রিয়ানো।
আর ইনজুরি টাইমে লিপজিগের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন ডি' ব্রুইন। ৭-০ জিতে পরের রাউন্ডে যাওয়ার পাশাপাশি ম্যাঞ্চেস্টার সিটি নিজেদের আত্মবিশ্বাসও সাতগুণ বাড়িয়ে ফেলল। এই নিয়ে টানা ৬ বার চ্য൲াম্পিয়ন্স লিগের শ🃏েষ আটে পৌঁছল ম্যান সিটি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।