ইংল্যান্ড ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে তোলপার হয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। অভিষেক টেস্টে ভাল পারফরমেন্স ক🍒রেও নির্বাসিত হতে হয়েছে ব্রিটিশ ক্রিকেট♑ার অলি রবিনসনকে। এরপর অনেকেই বর্ণবিদ্বেষ মন্তব্য নিয়ে সরব হন। ইংল্যান্ডের বহু ক্রিকেটার বর্ণবিদ্বেষ মন্তব্য নিয়ে নিজেদেরকে গুটিয়ে ফেলেছিলেন। এবার ইংল্যান্ডের বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে মুখ খুললেন মাইকেল হোল্ডিং।
ইংল্যান্ডের প্রথম মহিলা কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার, এবনি রেনফোর্ড-ব্রেন্൲ট। কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার কারণে তাঁকে বহু কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল ইংল্যান্ডে। হোল্ডিং পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ওই রকম আচরণ করা হলে তিনি মুখ বুজে মেনে নিতেন না।
ইংল্যান্ডের একটি সংবাদপত্রে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি মন্তব্য করেছেন, ‘মনে হয় না🍷 আমি এত দিন বেঁচে থাকতাম বলে। আমি খুব আগ্রাসী মানসিকতারꦺ ছিলাম। এক বার নিউজ়িল্যান্ড সফরে (১৯৮০) তো খেলা চলাকালীন স্টাম্প লাথি মেরে ভেঙে দিয়েছিলাম। ইংল্যান্ডে এবনির সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা কি আমি সহ্য করতে পারতাম? না, এত দিন বেঁচে থাকা হত না আমার।’
বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে বরাবরই সরব হয়েছেন হোল্ডিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন এই ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘জামাইকায় বেড়ে ওঠার সময় আমি কখনও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হ♏ইনি। কিন্তু জামাইকা থেকে বার হলেই বর্ণবিদ্বেষের মুখে পড়তে হয়েছে। যত বার ওই রকম পরিস্থিতিতে পড়েছি, নিজেকে বলেছি, এটা তোমার জীবন নয়। তুম✅ি আবার বাড়ি ফিরে যাবে।’
বর্ণবিদ্বেষ নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হবে হোল্ডিংয়ের লেখা বই। সেখানে বহু ঘটনা উল্লেখ করতে চলেছেন হোল্ডিং। প্রতিবাদি মেজাজে হোল্ডিং এদিন জানান, ‘আমি যদি ওই সময় প্রতিবাদ করতাম, তা হলে আমারꦐ ক্রিকেট জীবন এত দীর্ঘ হত না। বা টিভিতেও এত দিন ধরে ধারাভাষ্য দিতে পারতাম না। ইতিহাস সাক্ষী আছে, যখনই কোনও কৃষ্ণাঙ্গ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, তাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছে। আমি যদি মুখ খুলতাম, তা হলে ওরা বলত, ‘আর একটাꩵ বদমেজাজি কৃষ্ণাঙ্গ এসেছে।’ আমাকে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।