টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর কাছে সেঞ্চুরি হাঁকানোটা যেন কোনও বড় বিষয়ই নয়। আকছার শতরান হাঁকাচ্ছেন তিনি। সেটা যে কোনও মঞ্চই হোক না কেন। এই বছরই এসএ-২০ লিগের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছে ক্লাসেনের হাত ধরেই। আবার♑ ২০২৩ আইপিএলেও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে তিনি শতরান করেছিলেন। এবার মেজর লিগ ক্রিকেটেও প্রথম সেঞ্চুরি হল ক্লাসেনের সৌজন্যেই।
প্রসঙ্গত, এসএ-২০ এবং মেজর লিগ ক্রিকেট-𝓀 দুই টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রেই প্রথম শতরান করা ব্যাটার হিসেবে ইতিহাস লিখে ফেলেছেন হেনরিখ ক্লাসেন। শুধু টি-টোয়েন্টির মঞ্চই বা কেন, এই বছর ওডিআই ক্রিকেটেও দেশের হয়ে শতরান করে ফেলেছেন ক্লাসেন। ২০২৩ সালের একটি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততে হল ৩০ ওভারে ২৬৪ রান করতে হত। সেই ম্যাচে দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ক্লাসেন।
আরও পড়ুন: রাত ১১টার ফ্লাইট ছাড়ল তিনটেয়, সকাল ছা♊ড়া বিমান যাত্রা করতে আপত্তি তুললেন রোহিতরা
এমআই নিউ ইয়র্কের বিরুদ্ধে ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় সিয়াটল অরকস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এমআই নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে। প্রথমে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল এমআই। ২৮ রানে তারা ২ উইকেট হারায়। তৃতীয় উইকেট পড়ে ৬৫ রানের মা🌠থায়। তবে নিকোলাস পুরান দলের হাল ধরেন। তিনি ঝোড়ো মেজাজে ৭টি ছক্কা এবং তিনটি চার হাঁকিয়ে ৩৪ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন।
এর পর কায়রন পোলার্ডের ১৮ বলে ৩৪ রান এমআই-কে দু'শোর কাছাকাছি নিয়ে যায়। তিনি আবার তিনটি ছয় এবং ১টি চার হাঁকান। এ ছাড়া দশ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২টি 𓄧ছক্কা এবং ১টি চারের সৌজন্যে ৬ বলে অপরাজিত ২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ট্রেন্ট বোল্ট। তবে বাকিরা স🐻ে ভাবে পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ২০ রানের গণ্ডিই বাকি ব্যাটারদের কেউ টপকাতে পারেননি। যে কারণে দু'শো পার করতে পারেনি এমআই। সিয়াটল অরকসের হয়ে ইমাদ ওয়াসিম এবং হরমিত সিং ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট পিচ 🅷না হলে ব্যাজবল অচল, স্টোকসদের কটাক্ষ করলেন ভারতের নবাগত টেস্ট ত☂ারকা
রান তাড়া করতে নেমে অরকসও শুরুতেই কুইন্ট ডি'কক (৯) এবং শেহান জয়সূর্যের (০) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল। ৩৭ রানেই ২ উইকেট পড়ে যায়। তবে ক্লাসেনের ঝোড🍃়ো সেঞ্চুরির পাশাপাশি নোমান আনোয়ারের হাফসেঞ্চুরিই ম্যাচ জিততে সাহায্য করে অরকসকে। ওপেন করতে নেমে নোমান ৩০ বলে ৫১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৩টি ছয় এবং ৬টি চার। তবে নোমান আউট হলে চাপে পড়ে যায় অরকস। কারণ ক্লাসেন ছাড়া কেউই উইকেটে টিকতে পারছিলেন না। একদিকে যখন অরকসের একের পর এক উইকেট পড়ছে, তখন ক্লাসেন একেবারে বিপরীত ছন্দে ঝড়ো মেজাজ⛦ে ব্যাট করে চলেছিলেন।
৪৪ বলে অপরাজিত ১১০ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর এই ই🎀নিংসে রয়েছে ৭টি ছয় এবং ৯টি চার। শতরান করেছেন ৪১ বলে। অরকসের বাকি ব্যাটারদের মধ্যে দুই ꦍঅঙ্কের ঘরে গিয়েছেন দলের অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তিনি তাও মাত্র ১০ রান করেছিলেন। বাকিরা তো কেউ দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাননি। ক্লাসেনই দায়িত্ব দলকে ৪ বল বাকি থাকতে ছক্কা হাঁকিয়ে ২ উইকেটে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৯.২ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করে অরকস। এমআই-এর হয়ে ট্রেন্ট বোল্টের চার উইকেট শেষ পর্যন্ত কাজে এল না। ২ উইকেট নিয়েছেন রশিদ খান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।