সর্বশক্তি দিয়ে ধোনির নেতৃত্ব বাঁচিয়েছিলেন, দাবি প্রাক্তন BCCI সভাপতি শ্রীনিবাসনের

‘সর্বশক্তি দিয়ে ধোনির ক্যাপ্টেন্সি বাঁচিয়েছিলাম।’ প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি এন শ্রীনিবাসন কার্যত এই ভাষাতেই জানিয়ে দেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি কীভাবে জাতীয় নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে ধোনিকে নেতৃত্ব হারাতে দেননি।ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে শ্রীনিবাসন জানান, ২০১১-য় ভারত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় নির্বাচকরা ধোনিকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তাও আবার ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকেই। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরের টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হওয়াতেই ধোনির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন একজন নির্বাচক। সেই সময় তিনি নির্বাচকদের নিরস্ত্র করতে বোর্ড সভাপতি হিসেবে নিজের যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন।শ্রীনি বলেন, ‘২০১১ সালের ঘটনা। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ভালো খেলতে পারেনি। তাই একজন নির্বাচক ধোনিকে ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। প্রশ্ন হল, টেস্টের ব্যর্থতার জন্য কোন যুক্তিতে ধোনির ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নেওয়া হবে?’প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, ‘ধোনি সেবছরই বিশ্বকাপ জিতিয়েছে। নির্বাচকরা এটা ভেবেও দেখেনি যে, কে পরবর্তী ক্যাপ্টেন হবে। একটা আলোচনার পরেই বলে, ওকে ক্যাপ্টেন রাখা হবে না।’শেষে শ্রীনিবাসন বলেন, ‘ছুটির দিন ছিল সেটা। আমি গলফ খেলছিলাম। ফিরে আসতে বিসিসিআই সেক্রেটারি সঞ্জয় জগদালে বলে, ’স্যার, নির্বাচকরা ধোনিকে ক্যাপ্টেন রাখতে চায় না। তবে ওকে ক্রিকেটার হিসেবে দলে নিতে চায়।' আমি গিয়ে বলি, এমএস ধোনিই ক্যাপ্টেন থাকবে। বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে যাবতীয় কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেছিলাম সেদিন।'শ্রীনিবাসনের এই দাবি অবশ্য সেই সময়ে ওঠা বিতর্কে সিলমোহর দিল যে, বোর্ড সভাপতি হিসেবে নির্বাচকদের কাজে নাক গলিয়েছিলেন তিনি। যদিও পুরনো সংবিধান অনুযায়ী সেই সময়ে যে কোনও সিদ্ধান্ত বোর্ড সভাপতির অনুমোদন ছাড়া পাশ হওয়া সম্ভব ছিল না। শুধু এটা স্পষ্ট হল না, নির্বাচকদের সিদ্ধান্তে ভেটো প্রয়োগের ক্ষেত্রে শ্রীনি এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে ক্ষমতা জাহির করেছিলেন কিনা।তবে এটা ঠিক যে, সেই সময় ধোনির নেতৃত্ব বেঁচে গিয়েছিল। বরং চাকরি গিয়েছিল ধোনিকে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরানোর দাবি তোলা নির্বাচক মহিন্দর অমরনাথের।