গুজরাট বনাম চেন্নাইয়ের কোয়ালিফায়ার এক-এর লড়াইয়ে জিতেছে ধোনির দল। কিন্তু ম্যাচের মধ্যে অসংখ্য সাবপ্লটের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ছিল র𒁃ুতুরাজ বনাম গিলের লড়াই। একজন ইতিমধ্যেই সর্বকালীন সেরা হও🐼য়ার লড়াইয়ে নাম লিখিয়েছেন। অন্যজন প্রতিভায় হয়তো কমতি নেই, কিন্তু এখনও সেভাবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। মঙ্গলে যদিও টেক্কা দিয়ে দিলেন দ্বিতীয় তরুণ, চেন্নাইয়ের রুতুরাজ। কিন্তু চেন্নাইয়ের মন্থর উইকেটের জন্য যে তিনি হাত খুলে ব্যাটিং করতে পারছেন না, অনেকটাই ধরে ধরে খেলতে হচ্ছে, সেটাও কথার ছলে বলে দিলেন রুতুরাজ। অর্থাৎ একদিকে যখন গিল আমদাবাদের পাটা উইকেটে ঝড় তুলছেন, তাঁকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে চেন্নাইয়ে।
১৫ রানের ব্যবধানে গুজরাটকে হারিয়ে সিএসকে নিশ্চিত করেছে তাদের ১০ম ফাইনাল। এই নিয়ে দশমবার ফাইনালে গেল তারা যেটা অন্যদের থেকে অনেকটাই বেশি। আর এদিনে সিএসকের 💙জয়ের অন্যতম নায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ম্যাচ শেষে তিনি জানিয়েছেন শেষ ৩-৪ ম্যাচে চেন্নাইয়ের উইকেট স্লো হয়েছে।বল থমকে এসেছে ব্যাটে। ফলে মানিয়ে নিয়ে ব্যাটিং করেছি আমরা।
এদিন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ম্যাচ সেরা হয়ে তিনি বলেন ' শেষ ৩-৪ ম্যাচে চেন্নাইয়ের উইকেটটা বেশ আলাদা ছিল। উইকেট একটু হলেও স্লো হয়েছে। বল থমকে থমকে এসেছে। ফলে আমাকে মানিয়ে নিতে হয়েছে। মানিয়ে নিয়েই ব্যাটিং করেছি এই উইকেটে। ' ওপেনিংয়ে আগে ফাফ ডু'প্লেসি এবং বর্তমানে ডেভন কনওয়ের সঙ্গে তাঁ🌌র জুটির সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ' দুজনেই নিঃসন্দেহে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দুই সেরা ক্রিকেটার। ওদের সঙ্গে খেলতে পারাটা আমাকেই সাহায্য করেছে।'
রুতুরাজ গায়কোয়াড় আরো যোগ করেন ' ফাফ (ডু'প্লেসি) এমন একজন ক্রিকেটার যে প্রথম বল থেকে আক্রমণাত্মক খেলা খেলে। অন্যদিকে ডেভনের (কনওয়ে) ব্যাটসম্যানশিপ দুর্দান্ত। ও মাঠে গ্যাপ খুঁজে খুঁজে শট খেলে।স্ট্রাইক রোটেট করে। খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে দারুণ সাপোর্ট করেছে ডেভন।' উল্লেখ্য এদিন গুজরাটের বিরুদ্ধে ডেভন কনওয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম উইকেটে ৮৭ রান যোগ করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়।ডেভন কনওয়ে ৪০ রান করে আউট হন। ৪৪ বলে ৬০ রান করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এদিন ফিল্ডিং ও দুর্দান্ত করেছেন তিনি। বিজয় শঙ্করের একটি অনবদ্য ক্যাচ লুফে তাঁকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান তিনি। ওই ক্যাচ কার্যত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিল। তবে ক্যাচের থেকেও এই কঠিন উইকেটে রানটা যে তাঁর কাছে বেশি প্রিয়, সেটা স্পষ্ট করে দেন তিনি। এ🌄দিন যদিও নো-বলে আউট ছিলেন রুতুরাজ। কিন্তু জীবনদান পেয়ে সেটার পূর্ণ ব্যবহার করেছেন এই মহারাষ্ট্রের ক্রিকেটার। ফাইনালে যদি গুজরাট ওঠে. তাহলে আমদাবাদে হবে আরেক রাউন্ড লড়াই গিল বনাম রুতুরাজের। সেটার জন্যই এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আপামর ক্রিকেটপ্রেমীরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।