নিজের জীবনের পঞ্চম আইপিএল ফাইনালে দ্বিতীয়বার ট্রফি জিতলেন ঋদ্ধিমান সাহা। আর জিতে উঠেই শান্ত পাপালি দৃঢ় কণ্ঠে নিন্দুকদের বার্তা দিলেন। সাম্প্রতিককালে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ঋদ্ধির। শান্ত স্বভাবের এই উইকেটরক্ষক বিগত কয়েক মাসে এত বিতর্কে জড়িয়েছেন যা তাঁর গোটা কেরিয়ারে হয়নি। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে রাহুল-সৌরভদের নিয়ে মন্তব্য, সিএবি-র সঙ্গে মন কষাকষি, বাংলা দলের থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার, সাংবাদিকের সঙ্গে ঝামেলা... তবে এত কিছুর মাঝেও রয়েছে এক সোনালি রেখা। ২০২২ সালের আইপিএল-এ দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন ঋদ্ধি। ফাইনালে বড় রান না এলেও তাঁর দল ফাইনালে পৌঁছেছেন তাঁর উপর ভর করেই। তাই ৩৭ বছরের পাপালির মধ্যে দেখা গেল নতুন উদ্যম। (আরও পড়ুন: ২২'র IPL ফাইনালে ১১'র WC ফাইনালের ‘ছায়া’, অবিশ্বাস্য ‘মিল’ গুজরাট টাইটানসের জয়ে)
এর আগে ২০১১ সালের আইপিএল ফাইনাল জিতেছিলেন ঋদ্ধি। ২০১৪ সালের ফাইনালে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি। তবে ঋদ্ধি ফের একবার ফাইনাল জয়ের স্বাদ ফিরে পেলেন ১১ বছর পর। আর জিতেই তাঁর বক্তব্য, ‘এটা আম⭕ার পঞ্চম ফাইনাল এবং আমি এই নিয়ে দ্বিতীয় ট্রফি জিতলাম। কেউ কেউ নিলামের পরে বলেছিলেন যে আমাদের দল ভালো ছিল না।🍰 কিন্তু আমরা তাঁদের ভুল প্রমাণ করেছি। এই জয়ে সবাই অবদান রেখেছিল এবং এটি একটি দলগত পারফরম্যান্স।’
প্রসঙ্গত, এবছর শত বিতর্কের মাঝেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন পাপালি। প্রথম দিকে সুযোগ না পেলেও একবার দলে ঢোকার পর তাঁকে আর বাদ দিতে পারেননি হার্♎দিক। এবছর মোট ১১টি ম্যাচে ৩১.৭০ গড় ও ১২২.৩৯ স্ট্রাইকরেটে ৩১৭ রান করেন ঋদ্ধি। ফাইনালে মাত্র ৫ রান করলেও এবার ৩টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর নামের পাশে। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ভালো ইনিংস খেলে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি ম্যাচে। মাঝে যখন শভমন গিল ফর্মে ছিলেন না, তখন দলকে টেনেছেন ঋদ্ধি। দেখি দিয়েছেন ৩৭ বছরেও তিনি ফি♓ট। জেতার ক্ষিদে তাঁর মধ্যে আছে। আর সেই কথাটাই যেন ফুটে উঠল ম্যাচ শেষে তাঁর সংক্ষিপ্ত বার্তায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।