জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালস বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচে🃏র শেষ ওভারে চূড়ান্ত নাটকের সাক্ষী থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। জয়ের জন্য শেষ বলে ৫ রান দরকার ছিল সানরাইজার্সের। সন্দীপের শেষ বলে লং-অফ ফিল্ডার জোস বাটলারের হাতে ধরা পড়েন ব্যাটসম্যান আব্দুল সামাদ। ফলে রাজস্থান ৪ রানে ম্য়াচ জিতেছে বলে জয়পুরে কার্যত উৎসব শুরু হয়ে যায়। হঠাৎই নো-বলের সাইরেন বেজে ওঠায় থমকে যায় গ্যালারির সেই উচ্ছ্বাস।
সন্দীপ শর্মা ওভার-স্টেপে নো-বল করায় আউট হয়েও বেঁচে যান সামাদ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শেষ বলে জয়ের জন্য চার রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। সন্দীপ পুনরায় শেষ বল করলে সামাদ ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতান সানরাইজার্সকে। এক্ষেত্রে হায়দরাবাদের জয়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি বিতর্কেরও সূত্রপাত হয়ে যায় স🐠োয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে।
ধারাভাষ্যকাররাই উত্থাপন করেন এমন এক প্রসঙ্গ, যা ক্রিকেটের বিশেষ এই নিয়ম নিয়ে সাধারণ অনুরাগীদের মধ্যে ෴সংশয় তৈরি করতে পারে। আসলে সন্দীপের নো-বলে সামাদ বাটলারের হাতে ধরা পড়ার আগে দুই ব্যাটসম্যান নিজেদের মধ্যে প্রান্তবদল করেছিলেন কিনা,ꦜ সে বিষয়েই দেখা দেয় সংশয়।
প্রথমত প্রশ্ন ওঠে যে, যদি সামাদ ও নন-স্ট্রাইকার ব্যাটসম্যান মারকো জানসেন নিজেদের মধ্যে ক্রস কর🔯ে থাকেন, তবে সন্দীপ পুনরায় শেষ বল করার সময় কি সামাদের স্ট্রাইকে থাকা উচিত ছিল? মারকো জানসেন কেন স্ট্রাইকে ছিলেন না সেই বিষয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়ে যায়।
দ্বিত൩ীয়ত, যদি ব্যাটসম্যানরা নো-বলে প্রান্তবদল করে থাকেন, তবে বাড়তি এক রান দলের খাতায় যোগ হওয়া উচিত ছিল কিনা, সে বিষয়েও দেখা দেয় সংশয়। সেক্ষেত্রে শেষ বলে জয় থেকে তিন রান দূরে থাকা উচিত ছিল হায়দরা☂বাদের।
কমেন্ট্রি বক্সে গ্রেম সোয়ান, রবিন উথাপ্পা, আকাশ চোপড়াদের আলোচনা শুনে বোঝা যা🦩য় যে, তাঁরাও এই বিষয়ে রীতিমতো সংশয়ে ছিলেন। যদিও নিয়ꩲম মতো সামাদ ও জানসেন নিজেদের মধ্যে ক্রস করলেও শেষ বলে সামাদকেই ব্যাট করতে হতো।
ম্যাচের শেষে ব্রডকাস্টারদের আলোচনায় সামাদ জানান যে, বাটলারের হাতে যে বলে ধরা পড়েন, তাতে জানসেনের সঙ্গ ক্রস করেছিলেন তিনি। তবে আম্পায়ার নো-বল দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানসেনকে বোলিং ক্রিজে ফিরতে বলেন। গ্যালারি থেকে তোলা 🃏এক দর্শকের ভিডিয়োতেও দেখা যায় যে, আম্পায়ার ফ্রি-হিটের সংকেত দেওয়ার আগে তড়িঘড়ি বোলিং ক্রিজে ফেরেন জানসেন।
এক আইপিএল আম্পায়ার অবশ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এবিষয়ে নিয়ম স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, সামাদরা তড়িঘড়ি নিজেদের প্রান্তে ফিরলেন কিনা, তাতে কিছু যায় আসে না। আসলে নিয়ম মতো সেই বলে রান নিলেও তা গ্রাহ্য হতো না। সামাদকেই ব্যাট কর🌱তে হতো, ঠিক যেমনটা তিনি শেষ বলে স্ট্রাইকে ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট আম্পায়ারের কথায়, ‘সামাদদের দ্রুত নিজেদের প্রান্তে ফিরে যাওয়ার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নো-বল ছিল এবং ফিল্ডার ক্যাচ ধরার সঙ্গে সঙ্গেই সেটা ডেড-বল হয়ে যায়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী যদি একটি আইনসিদ্ধ বলে ফিল্ডার ক্যাচ ধরার আগে দুই ব্য়াটসম্যান প্রান্ত বদল করে থাকেন, তাহলেও নতুন ব্যাটসম্যানকেই স্ট্রাইক নিতে হবে। একইভাবে নো-বলের ক্ষেত্রেও ফিল্ডার ক্যাচ ধরার আগে ব্যাটসম্যানরা প্রান্ত বদল করেছেন কিনা, তাতে কিছু যায় আসে না। নো-বল হওয়ার জন্য শুধু এক রান অ🥃তিরিক্ত মিলবে। ব্যাটসম্যানরা প্রান্ত বদল করলেও আর কোনও রান পাওয়া যাবে না এবং আগের ব্যাটসম্যানকেই স্ট্রাইক নিতে হবে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।