আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ২০২০-‘২১ আইএসএল ফাইনাল শুরু হবে। মুখোমুখি হবে এটিকে মোহনবাগান-মুম্বই সিটি। হেভিওয়েট এই দু’টি দলের লড়াই ঘিরে চলছে নানা জল্পনা। কষা হচ্ছে নানা অঙ্ক। এই ম্যাচে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে, তাই নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে লিগের দু'টি ম্যাচেই মুম্বইয়ের কাছে মোহনবাগানকে হারতে হয়েছে। এমন কী ফিরতি লিগের ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে হারার ফলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগটাও 💖হাতছাড়া হয়েছে। আর এটাই নাকি আইএসএল ফাইনালে এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারদের কাছে ওযুধের মতে কাজ করবে।
যাঁর হাত ধরে মোহনবাগান প্রথম আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছিল। আই লিগের পাশাপাশি যিনি মোহনবাগানকে ফেডারেশন কাপও চ্যাম্পিয়ন করেছেন। যিনি এখন এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িত, আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের সহকারী সঞ্জয় সেন বলছিলেন, “মুম্বইয়ের কাছে হার নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা ছিল মোহনবাগানের কাছে। তবে ওটা অতীত। ফাইন🍸ালে নতুন লড়াই। আমাদের ছেলেরাও জেতার জন্য মরিয়া। আগের হার থেকে শিক্ষা নিয়েই ফাইনালে মাঠে নামবে দল।" আগের ম্যাচ দু’টিতে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সঞ্জয় বলেন,&ಞnbsp;“একসঙ্গে ছ’-সাত জন ফুটবলার যদি অফ ফর্মে থাকে, তবে বড় সমস্যা তৈরি হয়। তবে মানুষ বারবার এক ভুল করে না। আমাদের ছেলেরাও সে ভাবে নিজেদের মানসিক ভাবে তৈরি করেছে। কোচও নানা ভাবে তাতাচ্ছেন। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া অন্য কোনও ভাবনাই নেই আমাদের।"
সঞ্জয় যদি ক্লাবকে আই লিগ এনে দেন, তবে সুব্রত ভট্টাচার্য মোহনবাগানকে জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। সবুজ-মেরুন কোচ হিসেবে সুব্রতর যেমন বহু সাফল্য রয়েছে, তেমনই এই ক্লাবের ফুটবলার হিসেবেও তাঁর সাফল্যের ঝুলি পরিপূর্ণ। আই🌊এসএল ফাইনালে সুব্রতর বাজি মোহনবাগানই। তিনি বলছিলেন,&n✅bsp;“মোহনবাগান একটি পরিপূর্ণ টিম। স্বদেশি-বিদেশি মিলিয়ে বেশ শক্তিশালী দল। ডিফেন্সটাও ওদের বেশ ভাল। আগের দু’টো ম্যাচ হেরেছে মানে, এ বারও হারবে, তার কোনও কথা নেই। এক-আধ দিন খারাপ ফল হতেই পারে। ভাগ্যও সব সময় সঙ্গ দেয় না। কিন্তু ফাইনাল একেবারে আলাদা ম্যাচ। আমি তো বলব, লিগের ম্যাচ দু’টো হারা আসলে মোহনবাগানের জন্য সাপে বরই হয়েছে।"
শঙ্করলাল চক্রবর্তীরও একই বক্তব্য। সঞ্জয় সেন পরবর্তী অধ্যায়ে শঙ্করের হাত ধরেই কিন্তু মোহনবাগান নতুন করে সাফল্যের মুখ দেখেছিল। তাঁর মতে, “একটা টিমের কাছে মোহনবাগান কত বার হারবে? ফাইনালেও যদি হারে, তবে সেটা মোহনবাগানের কাছে চূড়ান্ত লজ্জার বিষয় হবে! তাই যে কোনও উপায়ে ফাইনাল জিততে মরিয়া থাকবে কলকাতার দলটি। ঠিক এই কারণেই আমি মোহনবাগানকে এগিয়ে রাখব। এই নিয়ে কোনও সন্🐠দেহ নেই, মোহনবাগান টিমটা বেশ শক্তিশালী। বহুদিন ধরে এই টিমের প্লেয়াররা একসঙ্গে খেলছে। এটিকে-র পুরো টিমটাকেই তো ধরে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে এই টিমে স্থানীয় ফুটবলাররা প্রত্যেকেই জাতীয় দলের প্রথম সারির প্লেয়ার। অন্যান্য দলগুলির তুলনায় এটিকে মোহনবাগানের স্থানীয় ফুটবলারদের মান অনেক বেশি ভাল। প্রীতম কোটাল, সন্দﷺেশ ঝিঙ্গান, প্রণয় হালদার, প্রবীর দাস, মনভীর সিং, অরিন্দম ভট্টাচার্য— কাকে ছেড়ে কার কথা বলব। তার মধ্যে ফরোয়ার্ডে রয় কৃষ্ণ, উইলিয়ামসের মতো ফুটবলার রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতিতে রয় কৃষ্ণ গোল করে বেরিয়ে যেতে পারেন। তবে মুম্বইও খুব ভাল টিম। লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওরা। ফাইনালের লড়াইটা নিঃসন্দেহে জমজমাট হবে। তবে আমি এগিয়ে রাখব মোহনবাগানকেই।"
সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার, কোচ এবং ফুটবল সচিব। সুব্রতর মতোই বাগানের ঘরের ছেলে বলা হয় তাঁকে। তিনিও বলছিলেন, “মুম্বইয়ের কাছে লিগে হারটা এক দিক থেকে দেখতে গেলে ভাল হয়েছে। মুম্বইয়ের কাছে হেরেই তো এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেছে মোহনবাগান। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে হলে ফাইনালে মুম্বইকে হারাতেই হবে, তা না হলে, এত দিনের পুরো লড়াইটাই যে ব্য🐻র্থ হয়ে যাবে। নিশ্চয়ই ম𝔍োহনবাগান ফুটবলাররা সেটা চাইবে না। মুম্বইয়ের থেকে কিন্তু মোহনবাগান টিমটা অনেক ভাল। মুম্বইকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে গিয়ে কিছু ভুল যদি মোহনবাগান না করে বসে, তা হলে সাফল্য আসবেই। হাবাস যেমন রক্ষণ সামলে অ্যাটাকে যায়, মুম্বইকে দেখছি ডিফেন্ডাররাও অ্যাটাকে উঠে আসে। ওদের স্টপার মোর্তাদা ফল তো উঠে এসে গোল করতে সিদ্ধহস্ত। তবু আমি ফাইনালে হাবাসের দলকেই এগিয়ে রাখছি।"
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।