নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দু'দিনে ম্যাচের রাশ ছিল শ্রীলঙ্কার হাতে। তবে তৃতীয় দিন থেকে শ্রীলঙ্কার রাশ আলগা হতে থাকে। চতুর্থ দিনের শেষে ম্যাচের পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়💎ে ছিল যেখান থেকে দু'দলের যে কেউ ম্যাচ জিততে পারত। যদিও ঘরের মাঠে খেলা বলেই এগিয়ে দেখাচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে। শেষমেশ প্রকৃতির বাধা সত্ত্বেও শেষ দিনে বাজিমাত করেন উইলিয়ামসনরা।
শ🌜েষ দিনে বৃষ্টি বাধ সাধায় মনে করা হচ্ছিল বুঝি নিউজিল্যান্🐠ড-শ্রীলঙ্কা ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট শেষমেশ ড্র হবে। তবে হিসাবটা বদলে দেয় নিউজিল্যান্ড। তারা কার্যত ওয়ান ডে ক্রিকেটের ঢংয়ে রান তুলে ম্য়াচ জিতে যায়। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে হেরে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কা টেস্ট চ্যাম্পিনশিপের ফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে যায়।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম দল হিসেবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট আগেই নিশ্চিত করেছে। দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে ওঠার লড়াই ছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে শ্🍒রীলঙ্কাকে নিউজিল্যান্ড সফরের ২টি টেস্টই জিততে হতো। একটি টেস্টও হারলে বা ড্র করলে বিদায় নিশ্চিত ছিল দ্বীপরাষ্ট্রের। শেষমেশ সেটাই হয়। প্রথম টেস্ট হেরে যাওয়ায় এবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাꦆবের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয় শ্রীলঙ্কাকে।
শ্রীলঙ্কা ছিটকে যাওয়ায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল💮ের টিকিট নিশ্ꦑচিত হয়ে যায় ভারতের। তারা টানা ২ বার ডব্লিউটিসি-র খেতাবি লড়াইয়ের টিকিট পকেটে পোরে।
ক্রা🦩ইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কার ৩৫৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৩ রান তোলে। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। অ্যাঞ্জেলো ম্য়াথিউজের ১১৫ রানে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বীপরাষ্ট্র ৩০২ রান তোলে। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের লিড বাদ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৮৫ রানের।ꦚ চতুর্থ দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড তাদের শেষ ইনিংসে তোলে ১ উইকেটে ২৮ রান। সুতরাং, শেষ দিনে জয়ের জন্য ৯ উইকেটে ২৫৭ রান তুলতে হতো কিউয়িদের।
তবে বৃষ্টির জন্য শেষ দিনের প্রথম সেশনের খেলা ভেস্তে যায়। দ্বিতীয় সেশনে খেলা শুর 🔜হলে জয়ের জন্য ৫৩ ওভার হাতে ছিল নিউজিল্যান্ডের সামনে। শেষমেশ ম্যাচের একেবারে শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে তারা। ৭০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনময়ে ২৮৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।
কেন উইলিয়ামসন ১১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৯৪ বলে ১২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৮৬ বলে ৮১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন ডারিল মিচেল। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি (১০২) ও দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ-সেঞ্চু💧রির সুবাদে ম্য়াচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন ডারিল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।