൩ খেলার মাঠে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ধুন্ধুমার লড়াই বহু প্রাচীন। দু'দলের কর্মকর্তাদের একে অপরের প্রতি বাক্যবাণ ছুঁড়তে দেখা যায় কথায়-কথায়। পান থেকে চুন খসলে দু'দলের সমর্থকদের নারদ-নারদ লেগে যায় যখন তখন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটি-বাঙালের লড়াই কদর্য রূপ নিতেও দেখা যায় হামেশাই।
🌞বড় ম্যাচ দেখতে গিয়ে আজ পর্যন্ত কত লোকের মাথা ফেটেছে, সেই হিসাব রাখা মুশকিল। তবে রবিবার কলকাতা ময়দান যে ঘটনার সাক্ষী থাকে, তা আগে কখনও দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের পুলিশের লাঠির আঘাত থেকে বাঁচাচ্ছেন মোহনবাগান অনুরাগীরা, এমন ছবি কেউ কোনওদিন দেখবে বলেও ভাবতে পারেননি।
ꦏউল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মাথা গলিয়ে দেয় মহামেডান স্পোর্টিংও। তিন প্রধানের সমর্থকরা একজোট হয়ে সুর চড়ায় প্রতিবাদের। কিসের প্রতিবাদ, সেটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
ಞপ্রথমত, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করায় রবিবার যুবভারতীর মোহন-ইস্ট ডার্বি বাতিল হয়। ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে তাতেই। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গে নতুন মোড় নেয় খেলা বাতিল। ময়দানের তিন প্রধানের সমর্থকরা গলা চড়ান নক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে।
🅺যুবভারতীর সামনে সমবেত ফুটবলপ্রেমীদের উপর পুলিশের লাঠি চার্জের ঘটনার পরেই আসরে নামেন মোহনবাগান দলনায়ক শুভাশিস বোস। তবে ইচ্ছা থাকলেও সেই আন্দোলনে সামিল হতে পারেননি দুই প্রধানের প্রাক্তনী মেহতাব হোসেন। তিনি কলকাতার বাইরে থাকায় সমর্থদকদের আন্দোলনে সামিল হতে পারেননি। সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন মেহতাব। তবে তিনি যুযুধান তিন প্রধানের সমর্থদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই দেখে অভিভূত। তাঁর আবেদন, এই একতা যেন বজায় থাকে।
🌺মেহতাব ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন। দূরে থেকেও এই লড়াইয়ে ন্যায়ের পাশে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রাক্তন তারকা। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, ‘নমস্কার, আমি মেহতাব হোসেন। কালকে যে ঘটনাটা ঘটেছে সল্টলেক স্টেডিয়ামের বাইরে, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডানের সাপোর্টাররা যেভাবে সমর্থন করেছে এই আন্দোলনকে, আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এই একতাটা দরকার, যেটা ফিরে এসেছে। আশাকরি এই ইউনিটি আছে এবং থাকবে। এটাকে আমি সমর্থন করি। বাকি যেটা ঘটেছে, সেটাকে আমি সাপোর্ট করি না।’
🔯মেহতাব আরও বলেন, 'আমি কালকে চেন্নাইয়ের জন্য ট্রাভেল করছি। চেন্নাইয়ে আমাদের আন্তঃঅফিস ম্যাচ আছে। তার জন্য আমি কলকাতার বাইরে। আমি ওখানে আসতে পারিনি, তার জন্য খুবই দুঃখিত। আমি এই আন্দোলনকে সাপোর্ট করি এবং সব সময় পাশে থাকব। এই আন্দোলনটা যেন বন্ধ না হয়। ধন্যবাদ সকলকে।'
🐓ভিডিয়োটির ক্যপশনে মেহতাব লেখেন, ‘অনেকেই কাল দেখলাম যুবভারতীর সামনে নির্মম লাঠি চার্জকে কেন্দ্র করে আমার প্রতিক্রিয়া খুঁজছিলেন। দুঃখিত, আমি ট্রাভেল করছিলাম এবং অফিস লিগ খেলার জন্য কলকাতার বাইরে ছিলাম বলে তোমাদের ভিড়ে নিজেকে মেলাবার সৌভাগ্য হয়নি। আমার তিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সমর্থকরা পুলিশের হাত থেকে ন্যায়ের দাবিতে বুক দিয়ে আগলাচ্ছে একে অপরকে, এর চেয়ে সুখের মুহূর্ত হয়তো আসেনি এই বাংলায়।’
ඣপ্রাক্তন তারকা আরও যোগ করেন, ‘খেলা হবে দিবসের দুদিন পরে ঘোষণা হল খেলা হবে না। কিন্তু এটা তো শুধু ফুটবল নয়, এতে প্রেম আছে, আবেগ আছে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে আর আছে প্রতিবাদের আগুন। আপনি চাইলে রুখে দেবেন? বাংলার ফুটবল নিয়ে ছিনিমিনি নয়। যা গতি দেখছি, গোল তো হবেই, এবার কিন্তু জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাবে রোষের আগুন। আজ যাঁরা লড়লেন, সবাইকে সেলাম। লড়াকু অভিনন্দন। লড়াই থামানো যাবে না। বাংলার মানুষের ঐক্য বেঁচে থাকুক, ময়দানি ঐক্য বেঁচে থাকুক। অবিরাম ভালোবাসা সব লড়াকু সহযোদ্ধাদের।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।