শুভব্রত মুখার্জি: গুয়াহাটির বরসাপাড়া স্টেডিয়ামে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার টানটান উত্তেজনার এক ম্যাচের সাক্ষী থেকেছে ক্রিকেট প্রেমীরা। ম্য𒉰াচে মাত্র ১৬ রানে জয় পেয়েছে ভারতীয় দল। পাশাপাশি সিরিজও জিতে ফেলেছে রোহিত বাহিনী। ম্যাচে কাগিসো রাবাদা, এনরিক নরখিয়া, ওয়েন পার্নেল এবং লুঙ্গি এনগিডি সমৃদ্ধ প্রোটিয়া বোলিং অ্যাটাককে তুলোধনা করেছেন রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবরা। ম্যাচে একাধিক ফুলটস বল করা থেকে শুরু করে ব্য🔯াটারকে কার্যত মারার বল উপহার দিয়েছেন প্রোটিয়া বোলাররা। যা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রোটিয়া বোলিং অ্যাটাককে। সেই নিয়েই ম্যাচ শেষে মুখ খুলেছেন দলনায়ক তেম্বা বাভুমা। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন এটা বল হাতে আমাদের সেরা পারফরম্যান্স একেবারেই ছিল না।
বাভুমা ম্যাচ শেষে জানান 'এটা আমাদের সেরা পারফরম্যান্স একেবারেই ছিল না। পরিবেশ অনেকটাই আলাদা ছিল। আমরা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারিনি। পরবর্তীতে ব্যাট হাতে যখন রান তাড়া করতে নামি তখন অনুভব করেছিলাম আমরা রানটা ভালভাবে তাড়া করতে পারব। ২২০ রানের লক্ষ্যমাত্রা থাকলে আমাদের কাজটা সহজ হত। তবে ২৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রার ফলে বিষয়টা কঠিন হয়ে যায়। মিলার খুব ভালো খেলছিল। ওর (মিলারের) পারফরম্য༺ান্স থেকে আমরা অনেকটাই আত্মবিশ্বাস পাব। পরিস্থিতি খুব কঠিন ছিল। প্রথম প্রথম আমরা বলকে সুইং করানোর চেষ্টা করেছি। তবে যখন বল সুইং করেনি আমরা দেখতে পেয়েছি ওই উইকেটে খেলাটা কতটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।
রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে জুটিতে দুই বাহাতি প্রোটিয়া ব্যাটার কুইন্টন ডি'কক এবং ডেভিড মিলার তুলে ফেলেন ১৭৪ রান। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি ছিল অবিচ্ছেদ্য। দলীয় ৪৭ রানে এডেন মারক্রামের উইকেট পড়ার পরে জুটি বেঁধে ছিলেন এই দুই ব্যাটার। ইনিংসের শ🌠েষ বল পর্যন্ত এই জুটি অক্ষত ছিল। ৮২ বল খেলে এই জুটি গড়ে ফেলে ১৭৪ রানের পার্টনারশিপ। এর আগে তেম্বা বাভুমা এবং রিলি রসউ দুজনেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন। ৪৭ বলে ১০৬ রানের এꦜকটি চোখ ধাঁধানো ইনিংস উপহার দেন মিলার। ৪৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ডি'কক।
প্রসঙ্গত এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রোহিত-রাহুল জুটি দুরন্ত ব্যাট করেন। ৯.৫ ওভারেই উঠে যায় ৯৬ রান। মহারাজকে মারতে গিয়ে স্টাবসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন রোহিত। ৩৭ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। রাহুল মাত্র ২৮ বলে ২০৩ স্ট্রাইক রেটে এদিন ৫৭ রান করেন। ৫টি চার, ৪টি ছয়ে সাজানো ছিল রাহুলের ইনিংস। রোহিত, রাহুল আউট হওয়ার পরেও এদিন ভারতের রানের গতি কমেনি। সূর্যকুমার যাদব মাত্র ২২ বলে ৬১ রানের একটি মারকাটারি ইনিংস 😼খেলেন তিনি। ২৮ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থেকে যান বিরাট কোহলি। শেষদিকে ৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থেকে যান কিপার ব্যাটার দীনেশ কার্তিক। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান করতে সমর্থ হয়েছিল ভারতীয় দল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।