পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংস্থা আদানি গ্রিন এনার্জি বৃহস্পতিবার বলেছে যে তার বোর্ড একটি যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ১২,৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দিয়েছে। এই ঘোষণার পর কোম্পানির শেয়ার ১ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড (AGEL) দেশের মধ্যে তার গ্রিন এনার্জি সরবরাহের প্রসারণ এবং বৈচিত্র্যের জন্য তহবিল ব্যবহার করতে চায়। এই তথ্য জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। আদানি গ্রিন এনার্জির সিএফও ফুন্টসোক ওয়াঙ্গিয়াল মে মাসে বলেছিলেন যে কোম্পানি এই আর্থিক বছরে প্রায় ৩ গিগাওয়াট পর্যন্ত গ্রিন এনার্জি প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে। এই কাজের জন্য প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে কোম্পানির।ভারতের পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্ষেত্রটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্ষেত্র হিসাবে উঠে এসেছে। গত বছর দেশের বিদেশী তহবিলের সাপেক্ষে শীর্ষ পাঁচটি সেক্টরের মধ্যে স্থান পেয়েছে গ্রিন এনার্জি। আর এই নতুন সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই আদানি গ্রুপ পাখির চোখ করেছে এই সেক্টরে বিনিয়োগ ও মুনাফা অর্জনের জন্য, যা তাকে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকত থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করবে। আদানি গ্রুপ, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের পরে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এরপরেও কোম্পানি গ্রিন এনার্জি সেক্টরের জন্য উল্লেখযোগ্য তহবিল সংগ্রহের কাজে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। মে মাসে, আদানি গোষ্ঠীর মধ্যে আরও দুটি কোম্পানি, যেমন আদানি ট্রান্সমিশন এবং আদানি এন্টারপ্রাইজ, ২.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত সংগ্রহ করার লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছে।হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে, আদানি গোষ্ঠীর সাতটি তালিকাভুক্ত সংস্থার সম্মিলিতভাবে বাজার মূল্য হ্রাসের পরিমান ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। উল্লেখ্য, আদানি গ্রিন এনার্জি এই বছর তার শেয়ার মূল্যের ৫০ শতাংশ পতন প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের পুনর্নবীকরণযোগ্য খাত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে লাভজনক খাতগুলির মধ্যে একটি। ফলে সংকট মোকাবিলায় এই সেক্টরই আদানি গোষ্ঠীকে সুরাহা দিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। প্রসঙ্গত, ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে ২৮০ গিগাওয়াট-এর সৌর ক্ষমতা এবং ৫ মিলিয়ন টন সবুজ হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। এছাড়াও, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সৌর উত্পাদনে গুরুত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রিলায়েন্স। সৌর উত্পাদনের পাশাপাশি হাইড্রোজেনের দিকেও অগ্রসর হবে গ্রুপ। রিলায়েন্স ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ গিগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে। ফলে বিকল্প শক্তির খোঁজে সর্বোচ্চ ঝাঁপাতে চলেছে আদানি গ্রুপ।