মাত্র কয়েক সেকেন্ডের হেরফের হলেই ভেঙে পড়তে পারত চন্দ্রযান থ্রিও। ঠিক যেভাবে সবটা সামলে নিয়েছিল ইসরো। জানলে হতবাক হবেন। চাঁদে পৌঁছেছে ভারত। কোটি কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন সফল হয়েছে গত ২৩ অগস্ট ২০২৩০এ। চন্🌸দ্রযান থ্রিক꧂ে সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইসরো। কিন্তু ইসরো যদি চন্দ্রযান থ্রি উৎক্ষেপণে ৪ সেকেন্ড দেরি না করত, তাহলে মিশনের পাশাপাশি কোটি কোটি ভারতীয়দের স্বপ্ন ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত। সম্প্রতি চন্দ্রযান থ্রি নিয়ে এমনই একটি নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইসরো। যেখানে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি প্রকাশ করেছে যে কেন তারা চন্দ্রযান থ্রিয়ের উৎক্ষেপণ করতে চার সেকেন্ড বিলম্ব করেছিল।
- পুরো ব্যাপারটা কী
আসলে, কোনও উপগ্রহ বা মহাকাশযান উৎক্ষেপণের আগে, ইসরো বিজ্ঞানীরা ধ্বংসাবশেষ বস্তু এবং উপগ্রহগুলির সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়ানোর বিষয়টি নজরে রেখেছিলেন। একে COLA বিশ্লেষণ বলা হয়। এর সাহায্যে, ইসরো বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান থ্রি এবং কোটি কোটি ভারতীয়দের স্বপ্নকে চুরಞমার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। নাহলে চন্দ্রযান-৩ এর সঙ্গেও সংঘর্ষ হলে চাঁদে পৌঁছানোর আগেই স্বপ্নের মিশন শেষ হয়ে যেত। অতএব, বিজ্ঞানীরা উৎক্ষেপণের সময় থেকে ৪ সেকেন্ড দেরিতে চাঁদে উৎক্ষেপণ করেছিলেন চন্দ্রযান ৩। যাতে তার পথে কোনও প্রকার বাধা না থাকে।
- মহাকাশে স্যাটেলাইটের গতি এবং দিক পরিবর্তন
ইসরো তার কাজে খুবই পারদর্শী। চাঁদে ইতিহাস সৃষ্টি করতে, ইসরো অনেক ধরনের গবেষণা পরিচালনা করেছিল। যাতে সংস্থাটি স্যাটেলাইট বা মহাকাশযান নিরাপদে অবতরণ করাতে পারে। যখন একটি ইসরোর স্যাটেলাইট মহাকাশে গিয়েছিল, তখন এটি মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ থেকে অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে, ইসরো 💧বিজ্ঞানীরা সংঘর্ষ এড়ানোর কৌশল অবলম্বন করে স্যাটেলাইটের গতি হ্রাস এবং বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। কখনও কখনও তাঁরা এর দিকও পরিবর্তন করেছিলেন। বলা বাহুল্য ২০২৩ সালে, ইসরো মোট ২৩ বার বিভিন্ন উপগ্রহের দিক এবং গতি পরিবর্তন করেছিল।
- ইন্ডিয়ান স্পেস সিচুয়েশনাল অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট ২০২৩ | শীর্ষ পয়েন্ট
১) ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির সূচনা থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর𓄧্যন্ত মোট ১২৭টি ভারতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কর𝕴া হয়েছিল।
২) ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ভারত সরকারের লো আর্থ অরবিটে (LEO) ২২টি এবং জিও-সিঙ্ক্রোনাস আর্থ অরবিটে (GEO) ২৯টি অপারেশনাল স্য🔜াটেলাইট পাঠানো হয়েছিল৷
৩) ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ তিনটি সক্রিয় ভারতীয় মহাকাশ মিশন: চন্দ্রযান-২ অরবিটার, আদিত্য-এল🅰১ এবং চন্দ্রযান-৩ প্রোপালশন মডিউল।
৪) ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ, ২১টি ভ𓂃ারতীয় উপগ্রহ বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশ করেছে, শুধুমাত্র ২০২৩ সালে ৮টি পুনঃপ্রবেশ ঘটেছে। ২০২৩ সা🌺লে মেঘা-ট্রপিক্স-১ও পুনঃপ্রবেশ করেছিল।
৫) ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয় উৎক্ষেপণ থেকে ৮২টি রকেট বডি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছিল, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ৫২টি ধ্বংসাবশেষ এখনও কক্ষপথে রয়েছে। ৩৫টি অক্ষত রকেট ২৯২৩ সালের শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর বায়ুমণ্🥃ডলে পুনরায় প্রবেশ করেছে।
৬) ২০২৩ সালে ইসরো দ্বারা মোট সাতটি উৎক্ষেপণ সফল হয়েছিল, যার মধ্যে SSLV-D২/EOS৭, LVM৩-M৩/ONEWEB_II, PSLV-C৫৫/TeLEOS-২, GSLV-F১২ NVS-০১, LVM৩-M৪/চন্দ্রযান🍨-৩, PSLV-C৫৬ /DS-SAR, এবং PSLV-C57/আদিত্য L-১। এর ফলে ৫টি ভারতীয় উপগ্রহ, ৪৬টি বিদেশী স্যাটেলাইট এবং আটটি রকেট বডি (POEM-২ সহ) তাদের কাঙ্ক্ষিত কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণের পরে, ভারত এখন চাঁদে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দ্রজয় করা দেশের তালিকায় আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন সহ কয়েকটি দেশের পাশে ൩জায়গা করে নিয়েছে চন্দ্রযান ৩। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের পর, প্রজ্ঞান এবং বিক্রম একটানা এক চন্দ্র দিনের জন্๊য কাজ করেছিল। এ সময় তারা চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাঠিয়েছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই মিশনের সাফল্য সারা বিশ্বে ভারতকে গর্বিত করেছে।