ইন্টারনেট সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন নিয়মকানুন জারি করবে। সেটাই স্বাভাবিক। এমনটাই মনে করছেন গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই। সেইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, আদর্শগত দিক থেকে ‘ফ্রি ইন্টারনেট’ (বাধাহীন ইন্টারনেট💜) ভালো। ভারসাম্য রেখে ‘ফ্রি ইন্টারনেটের’ পক্ষে সওয়াল করেন গুগলের সিইও।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে শুক্রবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে’ গুগলের সিইও বলেন, ‘এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমার মতে, প্রযুক্তির সীমা বিস্তৃত হয়েছে। তা মানুষের জীবনে আরও গভীরভাবে প্রভাব ফেলছে। এটা স্বাভাবি😼ক যে রাস্তায় নিয়ম থাকবে। এটা পুরো প্রক্রিয়ার একটি স্বাভাবিক বিষয়। এটা আমার কাছে একদমই যুক্তিযুক্ত বিষয় যে দেশগুলি নিজেদের নাগরিকদের বিষয়ে ভাবছে। নিজেদের নাগরিকদের ক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি যাতে ঠিকভাবে কাজ করে, সেজন্য নিয়ম তৈরি করছে। তাই পুরোটাই আমার কাছে যুক্তিযুক্ত।'
বিভিন্ন নিয়মকানুন থাকলেও ‘ফ্রি ইন্টারনেট’-এর (বাধাহীন ইন্টারনেট) পক্ষেও সওয়াল করেন গুগলের সিইও। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে একটা দুর্দান্ত জඣিনিস আছে - ফ্রি ইন্টারনেট (বাধাহীন ইন্টারনেট)। যা বিশ্বের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলে। আমার মনে হয়, সেই ভারসাম্যের মাধ্যমে আমাদের কাজ করতে হবে। একেবারে খোলাখুলি ইন্টারনেটে চিন্তাভাবনার আদানপ্ꦯরদানকে সমর্থন করা হয় - সেই বিষয়টি আদর্শ। তবে এটা একদমই যুক্তিযুক্ত যে গণতান্ত্রিক দেশগুলি ভাববে যে তাদের দেশের জনগণের জন্য কী করা উচিত।’
সম্প্রতি ভারতের নয়া ত♔থ্যপ্রযুক্তি নিয়ম নিয়ে যেমন একাধিক সংস্থা আপত্তি তুলেছিল। প্রাথমিকভাবে গুগল দিল্লি হাইকোর্টে জানিয়েছিল, নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম গুগলের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য হবে না। যদিও শুক্রবার পিচাই জানান, গুগল বিশ্বের কোনও দেশের সঙ্গে সংঘাতে যাবে না। তিনি বলেন, ‘বড় সংস্থা আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করি। গুগলের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে স্থানীয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশের স্বার্থের পক্ষে যেটা ভালো, সেটা অনুযায়ী কাজ করা উচিত। সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।'