গত ১৯ বছর ধরে একটি বিশেষ দিন। ৮ ফেব্রুয়ারি। প্রতি বছর এই তারিখ ইন্টারনেট নিরাপত্তার গুরুত্ব 𝄹স্মরণ করা হয়। আজ 'সেফার ইন্টারনেট ডে।'
এখন ইন্টারনেট সর্বত্র। কাজ, খেলা, যোগাযোগ, কেনাকাটা, গেমিং, ব্যাঙ্কিং, বিনিয়োগ এবং আরও অনেক কিছুই এখন অনলাইনে। এর ফলে একটা দিক স্পষ্ট। আমরা যাই করি না কেন, একটি জিনিস কমন। আমাদের ব্যক্তিগত ডেটা ক্রমাগতই অ♚নলাইনে প্রবেশ করে চলেছে। আর সেগুলি ব্যবহার করেই চলছে লক্ষ কোটি টাকার বিজ্ঞাপন ব্যবসা।
গত মাসের শেষের দিকে▨ নর্টন ল্যাবসের 'কনজিউমার সাইবার সেফটি পালস রিপোর্ট' প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্ট থেকে বর্তমান অনলাইন ঝুঁকির পরিবেশের একটি ছবি উঠে আসে। সেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী বছরে মোট ৩.৬ বিলিয়ন থ্রেট ব্লক করা হয়েছে। অর্থাত্ গড়ে প্রতিদিন ৯০ লক্ষেরও বেশি থ্রেট ব্লক করা হয়েছে। অর্থাত্ ইন্টারনেটের ব্যবহার সময়ের সঙ্গে বাড়বেই। কিন্তু সেই সঙ্গেই বাড়বে ঝুঁকি। আর সেগুলি থেকেই আমাদের সাবধানে থাকতে হবে।
সেফার ইন্টারনেট ডে-তে তাই আরেকবার মন🏅ে ক🔥রে নিন, অনলাইনে কীভাবে সাবধানে থাকবেন:
আপডেট অবহেলা করবেন না
নিয়মিত আপডেট করুন। কোনও সফটওয়্যার আপডেট করার পর൲ অনেকে ভাবেন কোনও পরিবর্তনই হয় না। কিন্তু বেশিরভাগ বড় নির্মাতাই ক্রমাগত সিকিউরিটির বিভিন্ন ফাঁক মেরামত করে আপডেট আনে। তাই যখনই কোনও আপডেট এসে যাবে, তা ইনস্টল করে নিন। দেরি করলে সমস্যায় পড💟়বেন।
বার্থ ডে, ক্রাশের নাম দিয়ে পাসওয়ার্ড নয়
পাসওয়ার্ড নিয়ে এখনও অনেকেই সেভাবে সচেতন নন। সহজেই ক্র্যাক করা যায় এমন পাসওয়ার্ড দিয়ে রেখে দেন। এমনটা করলে কিন্তু ভুল কর🎃ছেন। পাসওয়ার্ড রღাখারও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। জানতে চান? কীভাবে পাসওয়ার্ড সেট করবেন তা জানতে ক্লিক করুন এইখানে।
অচেনা মেল, ফরোয়ার্ড হওয়া মেসেজের লিঙ্ক এড়ান
এই মেসেজ ১০ জনকে ফরোয়ার্ড করলেই ৫০০ টাকা পাবেন। হোয়াটসঅ্যাপে এমনটা সকলেই পেয়েছেন। অনেক সময়ে আবার বলা হয় কোনও অ্যাপ ইনস্টল করতে। কিন্তু কেউ আজ পর্যন্ত টাকা বা গিফট পাননি। তবে এই লিঙ্কে ক্লিক করে হ্যাকড হওয়ার উদাহরণ রয়েছে অজস্র। তাই এমন লিঙ্ক কেউ পাঠালেই সতর্ক করুন। অচেনা😼 মেলে লিঙ্ক এলে স্প্যাম রিপোর্ট করুন।
ফ্রি Wi-Fi দেখেই কানেক্ট করে ফেলবেন না
বিনামূল্যে Wi-Fi-এর ফাঁদ পেতে হ্যাকিংয়ের ঘটনাও হয়। তাই বিশ্বস্ত স্থানের ছাডꦅ়া হুট করে ওয়াইফাই হটস্পটে কানেক্ট করবেন না। প্রয়োজনে VPN ব্যবহার করুন।
শিশুদের থেকে ফোন দূরে রাখুন
শিশুরা প্রায়শই বাবা-মায়ের ফোন নিয়ে গেমিং, ইউটি♏উব দেখা, অনলাইন ক্লাস করে। পুরো সময়টায় তার পাশে বসে থাকুন। সে যেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়া, লেনদেনের অ্যাপের পাসওয়ার্ড না জানে, সেটা লক্ষ্য রাখুন।