শনিবার অগ্নিপরীক্ষা। পুনঃব্যবহারযোগ্য লঞ্চ ভেহিকেল(RLV-TD) অবতরণের পরীক্ষা করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO । অনেকটা যেন সেই ইলন মাস্কের স্পেসএক্স-এর লঞ্চারগুলির মতোই। এটি বাস্তবায়িত হলে ইসরোর খরচ অনেকটাই কমে যাবে। হিন্দুস্তান টাইমসের তরফে সৌম্য পিল্লাইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনটাই জানালেন ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি বলেন, ২০২৩ সালে আরও বেশ কয়েকটি বড় মিশন রয়েছে।
RLV-TD ছাড়া ২০২৩-এ অন্য আর কী কী গুরুত্বপূর্ণ মিশন আছে?
শনিবারের RLV-এর ল্যান্ডিং ডেমোনস্ট্রেশন হবে। তারপরে আবার ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের (SSLV) দ্বিতীয় ডেভলপমেন্ট ফ্লাইট। ১০ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির🎶 মধ্যেই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওয়ানওয়েব ইন্ডিয়ার ৩৬টি স্যাটেলাইটের পরবর্তী সেটের লঞ্চেরও পরিকল্পনা রয়েছ𝓡ে। মার্চের প্রথম সপ্তাহেই সেটি হওয়ার কথা।
২০২৩ সালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিশন হল আদিত্য-এল 1। এই অভিযানে সৌর বায়ুমণ্ডলের পর্যবেক্ষণের জন্য একটি মহাকাশযান পাঠানো হবে। এপ্রিল𒀰-মে মাসে তার তারিখ স্থির করা হতে পারে।
এছাড়া আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আমাদের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচা🧜র রাডা𝓰র (NISAR) মিশনের রাডার পেলোড আসার কথা। সেটা এসে গেলেই বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। সেপ্টেম্বরের আশেপাশে লঞ্চ হতে পারে।
আপনারা ইদানিং মিথেন-চালিত রকেট ইঞ্জিনের উপর কাজ করছেন। সেই কাজ কত দূর এগলো?
মিথেনই সম্ভাব্য ভবিষ্যতের জ্বালানি। এমনটাই বলছেন অনেকে। আসলে জ্বালানি হিসেবে মিথেন ব্যবহার করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, এটি অত্যন্ত 'দক্ষ' জ্বালানি। খুব বেশি 'soot' বা কালি তৈরি করে না। গত কয়েক বছর ধরেই মিথেন ইঞ্জিন নিয়ে অনেক ♎কাজ হচ্ছে। আমরাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছি। একটি ১২০ টন মিথেন ইঞ্জিনের পরীক্ষা করা হয়েছে। ত🥃ার পাশাপাশি একটি ১০০ টন থ্রাস্টের মিথেন ইঞ্জিনের নকশা আঁকা হয়েছে। এটি তৈরি করতে চার বছর মতো সময় লাগতে পারে। ফলে এগুলি তৈরি করতে অনেকটা সময় নেয়। আমরা স্কেল বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এর জন্য সরকারের কাছে তহবিলেরও আবেদন করেছি।
ISRO-র ২০২২ সালটা কেমন গেল? ২০২৩-এর জন্যই বা সার্বিক পরিকল্পনা কী?
২০২২-এর জন্য আমরা বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। এর মধ্যে কয়েকটি আমরা অর্জন করতে পেরেছি। আবার বেশ কয়েকটি করতে পারিনি। তবে আমার মনে হয়𓆏 না আমরা পর্যাপ্ত কাজ করতে পেরেছি। ২০২২ সালে আমরা যা অর্জন করেছি, তাই নিয়ে আমি খুব একটা সন্তুষ্ট না। আরও বড় পরিকল্পনা ছিল। উদাহরণস্বরূপ, SSLV উৎক্ষেপণ সফল হয়নি। খুব অল্পের জন্যই সেটা ভেস্তে যায়। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এটি খুব হতাশাজনক একটা ব্যাপার ছিল। এই বছর দ্বিতীয় উৎক্ষেপণ সফল করতেই হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি। কিছু মিস হয়েছিল(গত বছর) বটে, কিন্তু আসলে এগুলি দীর্ঘমেযꦐ়াদী মিশনের অংশ মাত্র। ২০২২ ভালই ছিল, কিন্তু ২০২৩ আরও ভাল কাটা উচিত।