কোভিডের কারণে লোকবল, ব্যবস্থাপনা কম। তাই এ বছর ১৬টির জায়গায় ৫টি উত্ক্ষেপণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ইসরোর। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ নাও হতে পারে। ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।ইসরোর দুইটি পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ, একটি ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট, একটি সম্পূর্ণরূপে বৈজ্ঞানিক মিশন এবং গগনযান মিশনের অধীনে প্রথম মানবহীন উৎক্ষেপনের কথা ছিল।এর মধ্যে দুটি মিশনে দুটি নতুন স্মল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান ব্যবহার করার কথা ছিল। দুটি সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরো একটি লঞ্চ ভিহেকলকে সফলতার ছাড়পত্র দেয়। এই ক্ষুদ্র স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান বা SSLV মূলত বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হবে।এই বছর এখনও পর্যন্ত মাত্র দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিক পিএসএলভি সি-51 উৎক্ষেপণ হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্রাজিলের পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী কৃত্রিম উপগ্রহ অ্যামাজোনিয়া-1 পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে অগস্ট মাসে জিএসএলভি-এফ 10 মিশনে একটি ভারতের পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইট EOS-03 পাঠানো হয়। তবে এই অভিযান সফল হয়নি। ২০২১ শেষের আগে ইসরোর আরও তিনটি মিশনের পরিকল্পনা রয়েছে। একটি হল SSLV-র প্রথম উৎক্ষেপণ। অন্য দুটি হল পিএসএলভি ব্যবহার করে দুটি পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী উপগ্রহ EOS-04 এবং EOS-06 উৎক্ষেপণ।ইসরোর এক সিনিয়র বিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'তিনটি পরিকল্পিত মিশন এই বছর অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।'মনোহর পারিকর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের সিনিয়র ফেলো অজেয় লেলে বলেন, 'ইসরোর জন্য দ্রুত এসএলভি লঞ্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেক সময়ের জন্য বিলম্বিত হয়েছে। এটি একটি বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট বহনকারী হবে। ডেভেলপমেন্ট ফ্লাইটেও কিছু স্লট বিদেশী সংস্থার বুক করা রয়েছে। যদি লঞ্চগুলি শীঘ্রই না হয়, তবে তারা অন্যান্য দেশের লঞ্চ পরিষেবা প্রদানকারীদের কাছে যেতে পারে। তাতে ইসরো বাজার হারাবে। ভবিষ্যতেও ব্যবসায় প্রভাব পড়বে।'