মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া ২০৩১ অর্থবর্ষের মধ্যে বাজারে প্রায় ২৮টি মডেল নিয়ে আসতে চলেছে। নয় বছরে আরও ২০ লক্ষ ইউনিট উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে 'মারুতি ৩.০' শুরু করতে চলেছে কোম্পানি, জানালেন চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব জানিয়েছেন। ভার্গব আরও বলেন, ‘ভারতের গাড়ি শিল্প অতীতে চিনের মত দ্বিগুণ অঙ্কে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে না। তবে আমরা আশা করছি, ২০৩০-৩১ অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতের গাড়ি শিল্পের ৬ শতাংশ বৃদ্ধির হার বজায় থাকবে’।ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে কোম্পানির গৃহীত পদক্ষেপগুলি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখন যা পরিকল্পনা করা হচ্ছে তা 'মারুতি ৩.০'-এর শুরু বলা যেতে পারে। আমাদের প্রথম পর্যায়ে একটি পাবলিক এন্টারপ্রাইজ ছিলাম। কোভিড মহামারীর সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয়েছিল, এবং ভারতের গাড়ির বাজার বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠেছে। আগামীতে কোম্পানির সামনে চ্যালেঞ্জগুলি এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না।’তিনি আরও বলেন, ‘দুই মিলিয়ন ইউনিটের ক্ষমতা তৈরি করতে আমাদের ৪০ বছর লেগেছে, কোম্পানিকে এখন ৯ বছরের মধ্যে আরও ২ মিলিয়ন ইউনিট উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে।’ ভার্গব সম্ভাব্য কাঠামোগত পুনর্গঠনের দিকেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।মারুতি সুজুকি কোম্পানি আশা করছে, আগামীতে গাড়ি রফতানির চাহিদা বাড়তে থাকবে। রপ্তানির পরিমাণ ২০৩০-৩১ অর্থবছরের মধ্যে ৭.৫ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছাবে। আর সি ভার্গব বলেন, দেশীয় প্লাস রফতানির চাহিদা বৃদ্ধির জন্য আরও ২০ লক্ষ ইউনিট উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছেই।‘হরিয়ানার খারখোদায় প্রথম সাইটে কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে যে ২ লক্ষ ৫০ হাজার উৎপাদন ক্ষমতাযুক্ত প্রথম প্ল্যান্টটি ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে উৎপাদন শুরু করবে। এক মিলিয়ন উৎপাদন ক্ষমতা স্পর্শ করতে গেলে এভাবে প্রতি বছর একটি নতুন প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে হবে। আমরা ২০৩০-৩১ অর্থবর্ষের মধ্যে আরও এক মিলিয়ন উৎপাদন ক্ষমতা যোগ করার জন্য একটি দ্বিতীয় সাইট নির্বাচন করার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।’ এমনই জানিয়েছেন মারুতি চেয়ারম্যান ভার্গব।তিনি অবশ্য বলেন, চ্যালেঞ্জটি কেবল বছরে ৪০ লক্ষ গাড়ি উৎপাদন করা কিংবা, পরবর্তী বছরগুলিতে আরও বেশি পরিমাণে গাড়ি তৈরি করা নয়। সংস্থাটিকে এই সংখ্যক গাড়ি বাজারে বিক্রিও করতে হবে। ২০৩০-৩১ অর্থবছরের মধ্যে মারুতি সুজিকির প্রায় ২৮টি আলাদা আলাদা মডেল বাজারে উপলভ্য থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোম্পানি চেয়ারম্যান এই বড় প্রজেক্টটি হাতে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী।