পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। বরং ২০৩১ সালের মধ্যে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকায় মোট ১০টি পারমাণবিক শক্তি চুল্লি তৈরিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বুধবার লোকসভায় এমনটাই জানিয়েছে কেন্ജদ্র।
মালুক নগরের BSP সাংসদ প্রশ্ন করেছিলেন, সরকারি কি ভবিষ্যতে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার প্রস্তাব বিবেচনা করছে কিনা। তার বদলে কি প্রচলিত শক্তিরই উন্নতি হবে? জানতে চান তিনি। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের(PMO) প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, 'না স্যার।' আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সাহায্য নিয়েই প্রচুর পারমাণবিক কেন্দ্র গড়ে তুলবে কেন্দ্র
একটি পৃথক প্রশ্নের লিখিত জবাবে, জিতেন্দ্র সিং বলেন, সরকার ফ্লিট মোডে ৭০০ মেগাওয়াটের ১০টি প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টর তৈরি𒁏র জন্য প্রশাসনিক এবং আর্থিক অনুমোদন দিয়েছে।
কর্ণাটকের কাইগা, হরিয়ানার গোরখপুর এবং মধ্যপ্র꧋দেশের চুটকায় দু'টি ৭০০ মেগাওয়াট রিঅ্যাক্টর তৈরি করা হচ্ছে। রাজস্থানের মাহি বাঁশওয়ারায় চারটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন জিতেন্দ্র সিং।
'২০৩১ সালের মধ্যে এই চুল্লিগুলি ক্রমান্বয়ে 'ফ্লিট মোডে' স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছ🍨ে। ১,০৫,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে,' জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
জিতেন্দ্র সিং বলেন, সরকার ২০১৫ সালে পারমাণবিক শক্তি আইন সংশোধন করেছে। পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে NPCIL-এর যৌথ উদ্যোগের মাধ্🦩যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করার ভাবনা থেকে এই পদক্ষেপ।
পারমাণবিক শক্তিতে জোর দিতে চাইছে NTPCও। ভারতের বৃ꧒হত্তম বিদ্যুত্ উত্পাদকদের লক্ষ্য কয়লা নির্ভর শক্তি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসা। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ২০৭০ সালের লম্বা লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞরা। আগামী ৫০ বছরের মধ্যে কার্বন নির্গমনের মাত্রা সম্পূর্ণ শূন্য করতে চাইছে ভারত। আর সেই লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে পারমাণবিক বিদ্যুত্ উত্পাদনে জোর দেওয়া।
ভা🌳রতে বর্তমানে প্রায় ৬.৮ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২২টি অপারেশনাল রিঅ্যাক্টর রয়েছে।
এমনিতেই বিশ্বজুড়ে দেশগুলি কয়লাচালিত তাপবিদ্যুত্ উত্পাদনের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে এশীয় এবং ইউরোপীয় দেশগুলি আরও বেশি করে এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে। দেশগুলির উপলব্ধি হয়েছে যে, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং অন্যান্য জ্বালানীর জোগানের উপর নির্ভর করে বসে থাকা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ফলে দেশগুলি নিজেদের 'শক্তির স্বাধীনতা'কে আরও বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যেই পারমাণবিক শক্তি নিয়ে বিভিন্ন দেশ নতুন করে উদ্যোগী হয়েছে। চিন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলির প্রত্যেকেই আরও বেশি করে পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করতে চাইছে। সেই দৌড়ে সামিল হয়েছে ভারতও। আরও পড়ুন: NTPC Nuclear Energy: কয়লা হবে অতীত, পারমাণবিক বিদ্যুতই ঘরে পৌঁছে দেবে NTPC
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক