গত বছর জুলাইতে পরীক্ষামূলকভাবে লাইকের সংখ্যা হাইড করার ফিচার চালু করেছিল ইনস্টাগ্রাম। ২০২০ সালেই সেপ্টেম্বরে একই ফিচার নিয়ে য✅াচাই পর্ব শুরু করে ফেসবুক। এবার সেই লাইক হাইড করার ফিচারই পাকাপাকিভাবে আসতে চলেছে Facebook ও Instagram-এ।
বৃহস্পতিবার Facebook এ বিষয়ে ঘোষণা করে।
লাইক লুকোনোর অপশনের কারণ কী?
সোশ্যাল ൲মিডিয়ায় পোস্টের সময়ে অনেকেই লাইকের বিষয়টি নিয়ে একটু বেশি সিরিয়াস হয়ে যান। পোস্টের লাইকের সংখ্যা দিয়ে কোয়ালিটি বিচার করেন অনেকে। এতে মানসিক স্বাস্থ্যে পর্যন্ত প্রভাব পড়তে পারে। আসতে পারে হীনমন্যতা। একথা মাথায় রেখেই এবার নয়া অপশন যোগ করতে চলেছে Facebook এবং Instagram।
নয়া আপডেটের পর অ্যাকাউন্টের মালিক নিজেই ইচ্ছা মতো তাঁর পোস্টে লাইক 'শো' করাতে পারবেন। ༺আবার চাইলে হাইড💯-ও করতে পারবেন।
এর আগে ইনস্টাগ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে এই ফিচার দেওয়া হয়:
ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ এর আগে সীমিত সংখ্যক ব্যবহারকারীকে পরীক্ষামূলকভাবে এই সুবিধা দিয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে সংস্থার তরফে বলা হয়, '২০১৯ সালে স্বল্প সংখ্যক ব্যবহারকারীর লাইক হাইড করা হয় পরীক্ষামূলকভাবে। কিছু ব্যক্তি লাইক হাইড করার ফিচারটিকে ভালো বলেন। তবে কেউ কেউ🏅 এই ফিচারের বিরোধিতাও করেন।'
লাইক হাইডের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু যুক্তি:
লাইক হাইড করার পিছনে মূল যুক্তি সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত উদ্বেগ কমানো। ইনস্টাগ্রাম মূলত ফটো-বেসড সোশ্যাল মিডিয়া। অনেক ক্ষেত🍰্রেই দেখা যায় বিলাসিতা, অপরাধমূলক꧑ বা অশ্লীল আচরণের ছবি ও ভিডিয়োতে বেশি লাইক পড়ছে। কিন্তু সাধারণ ছবিতে তা হচ্ছে না। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মত মনোবিদদের।
লাইকে♏র আশায় ইনস্টাগ্রামে ভুয়ো লাইফস্টাইল প্রদর্শনেরও নজির রয়েছে। কোনও কোনও ইনস্টাগ্রামার ভাড়া করা সুপারকার, অন্যের বাড়ি, অন্যের টাকা এমনকি ধার করে আনা দামি পোশাক ইত্যাদি ব্যবহার করে ছবি তোলেন। এর পিছনে লক্ষ্য হল বিলাসবহুল জীবনযাত্রা দেখিয়ে জনপ্রিয় হওয়া ও লাইক পাওয়া। এর প্রভাব যে সমাজে, মানসিকতায় পড়ছে তা বলাই বাহুল্য।
এর বিরুদ্ধে মত:
অন্যদিকে ইনস্টাগ্রামারদের একাংশের দাবি, ল😼াইক-ই মূল মানদণ্ড। কোন ধরনের পোস্ট ফলোয়াররা বেশি পছন্দ করছেন, তাꦺ জানতে এটি জরুরি। বিশেষত যাঁরা পেশাগতভাবে ইনফ্লুয়েন্সার, তাঁদের ক্ষেত্রে এই মাপকাঠি অত্যন্ত জরুরি।