দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে তৎপর প্রশাসন। এনিয়ে মানুষকে সচেতন করা হไয়। তারপরেও প্লাস্টিকের ব্যাগ অথবা প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। এবার এই ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। অন্যদিকে, প্রতিদিন রাজ্যে উৎপাদন হওয়া বর্জ্যকে অর্থকরী করে তুলতেও বিশꩲেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জঞ্জাল পরিষ্কার করতে তৈরি করা হবে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পার্কমার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমার জানান, প্লাস্টিক ব্যাগ বা প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া নিয়ন্ত্রণে আনতে সেগুলি জমিয়ে যাতে বিক্রি করা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য🐓 একটি মোবাইল অ্যাপ আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেই অ্যাপের মাধ্যমে এই সব প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে। পর্ষদের আধিকারিকদের মতে, যদি প্লাস্টিক থেকে অর্থলাভের রাস্তা খুলে দেওয়া যায় তাহলে মানুষ এই ধরনের প্লাস্টিক যেখানে সেখানে না ফেলে জমিয়ে রাখবেন।
অন্যদিকে, প꧅্রতিদিন রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। বছরে বাংলায় বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ ১৩ হাজার টন। এবার এই সমস্ত বর্জ্য পরিশোধন করে তা থেকে আর্থিক আয় করতে চাইছে রাজ্য সরকার। তার জন্য তৈরি করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ প্রযুক্তির মেশিন বসানোর উদ্যোগ নিচ্ছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তা থেকে বর্জ্যকে ব্যবহার করে অর্থকরী করে তোলা হবে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্জ্যকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আলাদা করে সেগুলিকে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য চারটি মেশিন কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 🐻এই সমস্ত মেশিনগুলি থেকে বর্জ্যকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আলাদা করা হবে এবং তারপর রিফিউজ ডি🗹রাইভড ফুয়েল বা আরডিএফ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই আরডিএফ বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহার হয়ে থাকে। তা থেকে অর্থলাভ করা যেতে পারে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্জ্যের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক থাকে। এই মেশিনের সাহায্যে সেগুলি আলাদা করা সম্ভব। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে কল🐠কাতা এবং বিধান নগর পুরসভাসহ আরও দুটি জায়গায় এই মেশিন বসানো হবে। মূলত দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকেই এই ধরনের প্রযুক্তির ধারণা পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দাবি, রাজ্যে বছরে যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন হয় তার মধ্যে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার টন বর্জ্য পৃথকীকরণ সম্ভব এবং সেগুলি অর্থকরী।