সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার আইটি হার্ডওয়ারের আমদানি কমানোর জন্য, ও পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য একটি পরি🍒কল্পনা গ্রহণ করেছে। ইলেকট্রনিক্স ও আইটি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সের ৮০ শতাংশ আসে বাইরে থেকে, ভারতের দেশীয় উৎপাদন মাত্র ৮-১০ শতাংশ। ভারতের দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আইটি হার্ডওয়্যারের চাহিদার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত মেটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সালে শুরু হওয়া পিএলআই (প্রোডাক্টিভিটি লিঙ্কড ইনসেনটিভ) স্কিমের মাধ্যমে ইলেকট্রনিকসের দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশীয় ও বিদেশী কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ প্রদান করছেন এবং আমদানি কমানোর উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে কঠোর আমদানি নীতি।
ভারতে ইলেকট্রনিক্সের একটি বড় অংশই আসে চিন থেকে। সরকার জানান যে, এই অতিরিক্ত আমদ💝ানির জন্য চিনের ওপর ভারতের বাণিজ্য নির্ভরতা পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। অর্থনীতিবিদদের মতে কোনও একটি দেশের ওপর এই অতিরিক্ত নির্ভরতা দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে, এর উদাহরণস্বরূপ বর্তমানে শ্রীলঙ্কার শোচনীয় অবস্থার কথা আমরা সবাই জানি। তাই বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার আমদানি কমানোর জন্য ও দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার পিএলআই (প্রোডাক্টিভিটি লিঙ্কড ইনসেনটিভ) স্কিম নামে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। স্কিমটির লক্ষ্য হল দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বিদেশী সংস্থাগুলিকে ভারতে উৎপাদনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো। এটি ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বৃহৎ ম🅰াত্রার ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরের জন্য চালু করা হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে ২০২০ এর শেষের দিকে ১০টি অন্যান্য সেক্টরের জন্যও চালু করা হয়। এখনও পর্যন্ত ডেল, এইচপি, লেনোভো সহ আরও ৪০ টির বেশি কোম্পানি এই পিএলআই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছে।
কোম্পানিগুলি জানিয়েছে যে এই স্কিমের সাহায্যে তারা পার্সোনাল কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, সার্ভার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৪.৬৫ লক্ষ কোটিতে নিয়ে যাবে। যদি এই সমস্ত কোম্পানিগুলিকে সরকারি স্কিমের অꦓন্তর্ভুক্ত করতে হয়, তাহলে সরকারের ভর্তুকি ১৭০০০ হাজার কোটি থেকে বাড়িয়ে ২২৮৯০ হাজার কোটি টাকা করতে হবে। সরকারের এই নীতি অবলম্বনের ফলে দেশীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে অনেক অর্থনীতিবিদ। এমনকি অ্যাপেল এবং স্যামসাং-এর মতো প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকেও এই নীতি প্রভাবিত করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে দেশের আর্থিক অগ্রগতির সাথে প্রযুক্তিগত উন্নয়নও লক্ষ্য করা যাবে। এমনকি আগামী বছর গুলিতে কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে।