ভারতীয় ক্রিকেটার রিঙ্কু সিং এবার জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা ক্রিকেটারের প্রেমিকা কে জানেন? জৌনপুরের মাছলিশহরের সাংসদ প্রিয়া সরোজকেই নিজের মন দিয়ে ফেলেন রিঙ্কু। আর তাঁর সঙ্গেই এই বছরের ৮ জুন বাগদান করতে চলেছেন রিঙ্কু। লখনউয়ের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠানটি হবে। এমন কী বিয়ের দিনক্ষণও পাকা হয়ে গিয়েছে। এই বছরের ১৮ নভেম্বর বারাণসীর তাজ হোটেলে চার হাত এক হবে রিঙ্কু-প্রিয়ার।
রিঙ্কু সিং এবং প্রিয়া সরোজের প্রেম নতুন নয়
রিঙ্কু এবং প্রিয়ার বিয়ের খবর এই বছরের জানুয়ারিতেই শিরোনামে এসেছিল, যখন প্রিয়ার বাবা তুফানি সরোজ (যিনি একজন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক) নিশ্চিত করেছিলেন যে, তাঁরা রিঙ্কুর বাবার সঙ্গে মেয়ের বিয়ের বিষয়ে কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, রিঙ্কু এবং প্রিয়ার প্রেমের গল্পটি খুবই আকর্ষণীয়। ২ বছর আগের কথা, ২০২৩ সালের আইপিএলে, রিঙ্কু শেষ ওভারে টানা ৫টি ছক্কা মেরে কেকেআর-কে এর রোমহর্ষক ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। এর পর, কেকেআরের এক সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে রিঙ্কুর গভীর বন্ধুত্ব হয়। এবং সেই ক্রিকেটারের বিয়েতে গিয়েই রিঙ্কুর সঙ্গে আলাপ হয় প্রিয়ার। এর পর তাঁরা বন্ধু হয়ে ওঠেন এবং তাঁদের মধ্যে ভালোবাসা জন্ম নেয়।
তবে সঙ্গে সঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত না নিয়ে, বরং দু'জনে দীর্ঘ দিন ধরে একে অপরকে জেনেছেন, বুঝেছেন, তার পরেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন দু'জনের বিয়ের তারিখও পাকা হয়ে গিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, রিঙ্কু-প্রিয়া ৮ জুন বাগদান করবেন এবং ১৮ নভেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন।
চলচ্চিত্র তারকাদের সমাবেশও দেখা যাবে
রিঙ্কু সিংয়ের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সকলেই অবগত। একই সঙ্গে, প্রিয়া সরোজেরও রাজনীতির জগতে যথেষ্ঠ নাম রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, নভেম্বরে তাঁদের বিয়েতে রাজনীতিবিদ, চলচ্চিত্র তারকা এবং শিল্পপতিদের উপস্থিত থাকতে দেখা যেতে পারে।
তাঁদের বাগদানের গুজব আগেও ছিল
রিঙ্কু এবং প্রিয়ার বাগদানের গুজব আগেই উঠে এসেছিল, যে বিষয়ে প্রিয়ার বাবা একটি বেসরকারি চ্যানেলের সঙ্গে কথোপকথনে সত্যিটাই স্বীকার করেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে, দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা চলছে, কিন্তু বাগদান হয়নি।
প্রিয়া মাছলিশহরের সংসদ সদস্য
প্রিয়া সরোজের জন্ম ১৯৯৮ সালের ২৩ নভেম্বর। ১৮ বছর বয়সের পর তিনি কেবল সমাজবাদী পার্টির সক্রিয় সদস্যপদ গ্রহণ করেননি, বরং দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বারাণসী জেলার পিন্ড্রা তহসিলের কারখিয়াওঁর বাসিন্দা।
মাত্র ২৫ বছর বয়সে, তিনি বিজেপির বিপি সরোজকে পরাজিত করে লোকসভায় পৌঁছান। মছলিশহর আসনে জয়ী হন তিনি। তাঁর বাবা তুফানি সরোজও তিন বার মছলিশহর লোকসভা আসন থেকে সাংসদ ছিলেন। তিনি ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।