পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ ভক্তদের কাছে অমূল্য। কিন্তু সেই মহাপ্রসাদ প্রাপ্তির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ দক্ষিণা দিতে হত। তবে আর তার প্রয়োজন পড়বে না ভবিষতে। কারণ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ🃏 ভক্তদের মধ্যে বিনামূল্যে বিলি করার পথে ভাবনা চিন্তা করছে ওড়িশা সরকার। এখনও সবটা পরিকল্পনার স্তরে থাকলেও, শীঘ্রই তা বাস্তবায়িত করার পথে 🧔হাঁটবে ওড়িশা সরকার, সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুরীর মন্দিরের মহাপ্রসাদ লাভের জন্য মানুষ দূরদূরান্ত থেক𒆙ে ছুটে আসেন। আমরা তাঁদের হাতে বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ 🥂তুলে দিতে চাই। সে ব্যবস্থা যাতে শীঘ্রই করা যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে, ভেবে দেখা হচ্ছে উপায়।'
আরও পড়ুন: ২৬ না ২৭ অগস্ট জন꧟্মাষ্টমীর তারিখ নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি, জেনে নিন✤ সঠিক তারিখ
তবে তিনি এও জানান যে, প্রতিদিন সাধারণত পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি ভক্ত ভিড় জমান। আর কোনও বিশেষ তিথি বা উৎসব অনুষ্ঠান থাকলে এই সংখ্য দেড় থেকে দু’লাখে পৌঁছে যায়। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, এত মানুষকে কি সত্যি সম্পূর্ণ ব🦄িনামূল্যে মহাপ্রসাদ দেওয়া সম্ভব?
এ বিষয়ে মন্দিরের কর্মীদের মত, রীতি অনুযায়ী জগন্নাথ দেবকে নিবেদনের যে মহাপ্রসাদ, তা বিক্রির জন্য নয়। কিন্তু সুয়ারা এবং মহাসুয়ারাদের তৈরি মহাপ্রসাদ মন্দিরের ভিতরেই আলাদা করে বিক্রি করা হয়ে থাকে। আর সেই প্রসাদের দাম কতটা হবে তাও নির্ভর করে ভক্ত সংখ্যা এবং কীরকম চাহিদা থাকছে ꦇতার উপর।
তাই বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ দিতে দেওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি পথ অবলম্বন করা যেতে পারে। এক, সুয়ারা এবং মহাসুয়ারারা যে প্রসাদ ভক্তদের দিয়ে থাকেন সেই প্রসাদই বিলি করা যেতে পারে। অথবা, সরকার নিজে উদ্যোগ নিয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে🌳 মহাপ্রসাদ তৈরি করে তা ভক্তদের বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে যেহেতু এখনও এই পুরো বিষয়টি পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে, তাই আগামীতে কী করা হবে, ꦰতা নিয়ে এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বক্রী বুধের কারণে কন্যা সহ ৬ রাশির সম🦂য় ব🦩দলাবে, চাকরি ব্যবসায় আসবে সাফল্য
কিন্তু সরকারের এই সুন্দর ভাবনাকে 𝔉সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। সকলেই মনে করছেন যে, বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ বিলি করা হলে অনেকেই উপকৃত হবেন। সবার পক্ষে নির্দিষ্ট পরিমাণ দক্ষিণা দিয়ে মহাপ্রসাদ নেওয়া সম্ভব হয় না, সেই জায়গায় বিনামূল্যে তা পাওয়া গেলে গৃহহীন এবং দরিদ্রেরাও এই মহাপ্রসাদ লাভ করতে পারবেন। তাই সরকারের এই উদ্যোগকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।
বাদ যাননি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সুয়ারা-মহাসুয়ারা নিযোগের সভাপতি পদ্মনাভ মহাসুয়ারাও। তাঁর মতে, ‘আমরাও এই প্রস্তাবে খুব খুশি। ২০১৭ সালেও এমন একটি উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন যদি আবার ভক্তদের বিনামূল্যে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়, তা হলে তার থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই উদ্যোগ কতটা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে ꧃তা বলা কঠিন, এর জন্য প্রয়োজ𓃲ন পর্যাপ্ত সরকারি সাহায্যের।’