হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রে রুদ্রাক্ষের বিশে💧ষ গুরুত্ব রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী, দীর্ঘ তপস্যার পর শিব যখন নিজের চোখ খোলেন, তখন তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। যেখানে তার অশ্রুবিন্দু পড়ে সেখানে একটা রুদ্রাক্ষের গাছ উৎপন্ন হয়। বলা হয়, শ্রাবণ মাসে রুদ্রাক্ষ ধারণ করা শুভ।
অনেকেই রুদ্রাক্ষ পড়ে থাকেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন, মোট ১৪ ধরনের রুদ্রাক্ষ হয় এবং প্রত্যেকেরই বিশেষত্ব পৃথক পৃথক। নির্দিষ্ট মন্ত্র এবং দেবতা অনুযায়ী সেই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে বিশেষ ল☂াভ হয়।
জানুন এই ১৪ ধরনের রুদ্রাক্𒀰ষ কোন দেবতার প্রতীক এবং কোন মন্ত্রে এটি ধারণ করবেন।𒆙
(আরও পড়ুন: আগামিকাল সূর্যের মিথুনে প্রবেশ, সময় বদলাবে, ৪ রাশ𒀰ির বন্ধ ভাগ্যের খুলবে তালা)
একমুখী রুদ্রাক্ষ: এই রুদ্রাক্ষ শিবের অত্যন্ত প্রিয়। যে ব্য🧸ক্তির ধন-সম্পদ এবং ভৌতিক বস্তুর আকাঙ্ক্ষা থাকে তিনি এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারেন। ওম হ্রীং নম: মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে হয়।
দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ: একে অর্ধনারীশ্বরের রুদ্রাক্ষ বলা হয় এবং এটি⛄ সমস্ত ইচ্ছে পূরণ করে। একে ধারণের পূর্বে ওম নম: মন্ত্রের জপ করা উচিত।
তিন মুখী রুদ্রাক্ষ: একে অগ্নিদেবের রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এটি ধারণ করলে ব্যক্তির সমস্ত ইচ্ছে শীঘ্র পুরো হয়ജ। ওম ক্লীং নম: মন্ত্র জপ করে একে ধারণ করা উচিত।
চার মুখী রুদ্রাক্ষ: সাক্ষাৎ ব্রহ্মার রুদ্রাক্ষ⭕ এটি। যা ধারণ করলে, ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ লাভ হয়। ওম হ্রীং নম: মন্ত্র জপ করে একে ধারণ করতে হয়।
পাঁচ মুখী রুদ্রাক্ষ: এটি কালাগ্নি দেবতার রুদ্রাক্ষ। একে পরলে সমস্ত সমস্যার ওসমাধান হয়। একে ধারণের পূর্বে ওম হ্রীং নম: মন্ত্র জপ করবেন।
ছয় মুখী রুদ্রাক্ষ: এটি কার্তিকের রুদ্রাক্ষ। এ𝄹টি পরলে ব্রহ্মহত্যার পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পরার সময় ওম হ্রীং হুম নম: মন্💙ত্র জপ করবেন।
সাত মুখী রুদ্রাক্ষ: একে সপ্তর্ষি সপ্তমাতৃকায়েং রুদ্রাক্ষ বলা হয়। যে ব্যক্তির অত্যধিক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এবং তা কাটিয়ে ওঠার কোনও উপায় তাঁর হাতে নেই তাঁদের রুদ্রাক্ষ পরা উচিত🎉। ওম হুম নম: মন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত।
আট মুখী রুদ্রাক্ষ: ওম হুম নম: মন্ত্র জপ করে এই 🌌রুদ্রাক্ষ পরলে রোগ মুক্তি ঘটে।
নয় মুখী রুদ্রাক্ষ: একে ন' দেবীর স্বরূপ মনে করা হয়। সমাজে প্রতিষ্ঠার ইচ্ছে ✃থাকলে, এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করা উচিত। এক্ষেত্রে ওম হ্রীং হুম নম: মন্ত্র 🎃জপ করতে হয়।
(আরও পড়ুন: মানিপ্লꦜ্যান্ট বাড়িতে রেখেও মিলছে না সমৃদ্ধি? এই ভুল করছেন না তো! রইল বাস্তুটিপস)
দশ মুখী রুদ্রাক্ষ: একে বিষ্ণুর স্বꦍরূপ মনে করা হয়। জীবনে আনন্দের আগমন ঘটান𒁃োর জন্য রুদ্রাক্ষ ধারণ করা হয়ে থাকে, যার জন্য ওম হ্রীং নম: মন্ত্রের জপ করতে হয়।
এগারো মুখী রুদ্রাক্ষ: এটি রুদ্রদেবে🔯র স্বরূপ। জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য এটি ধারণ করতে হয়। এর জন্য ওম হ্রীং হুম নমꦅ: মন্ত্র জপ করা উচিত।
বারো মুখী রুদ্রাক্ষ: এটি অন্য সমস্ত রুদ্রাক্ষের চেয়ে ভিন্ন। ওম ক্রৌং ক্ষৌং রৌং নম: ম🎉ন্ত্র জপ করে এই রুদ্রাক্ষ চুলে ধারণ করা উচিত।