জন্মাষ্টমীর দিন, লোকেরা উপবাস পালন করে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করে। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্তরা কানহার ভক্তিতে লীন হন। জন্মাষ্টমীর দিন নিয়ম করে পুজ𒆙ো করা ছাড়াও লাড্ডু গোপালের আশীর্বাদ পেতে মানুষ অনেক ব্যবস্থাও করে থাকে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে শ্রীকৃষ্ণের কাছে বাঁশি সবচেয়ে প্রিয়। বাস্তুশাস্ত্রেও বাঁশিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাঁশি সংক্রান্ত কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে আপনি আপনার জীবনকে সুখী করতে পারেন। আসুন জেনে নিই এই প্রতিকারগুলো।
বাস্তু দোষ দূর হবে
বাঁশি ছিল শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। তিনি সবসময় তার সাথে বাঁশি বহন করতেন। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনার বাড়িতে বাস্তু ত্রুটি থাকে এবং এর জন্য আপনি চিন্তিত থাকেন, তাহলে জন্মাষ্টমীর দিন আপনার বাড়িতে একটি বাঁশি নিয়ে আসতে হবে এবং রাতেরꦕ বেলায় কৃষ্ণকে পূজা করতে হবে। দ্বিতীয় দিন বাঁশিটি আপনার বাড়ির পূর্ব দেওয়ালে ঝুলিয়ে দিন। বাস্তু অনুসারে, এটি করলে আপনার বাড়ির বাস্তু দোষ ধীরে ধীরে দূর হবে।
ব্যবসায় লাভের জন্য
বাস্তুশাস্ত্র অ🌌নুসারে, যে ঘরে কাঠের বাঁশি থাকবে সেখানে কানাইয়ের কৃপা সবসময় থাকবে। বাঁশিকে শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে একটি সুন্দর বাঁশের বাঁশি ঝুলিয়ে রাখলে সমৃদ্ধি আসবে। এছাড়াও, যদি আপনার ব্যবসা ভাল না হয়, তবে আপনার অফিস বা দোকানের প্রধান প্রবেশদ্বারের উপরে দুটি বাঁশি রাখুন।
নেতিবাচক শক্তি চলে যাবে
বাঁশিকে সম্মোহন, সুখ ও মোহনীয়তার ♋প্রতীক মনে করা হয়। এর সুমিষ্ট সুরে সবাই আকৃষ্ট হয়। বাঁশি বাজলে এর দ্বারা উৎপন্ন শব্দ থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে পরিবেশে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনার মনে হয় যে ঘরে নেতিবাচক শক্তির আধিপত্য রয়েছে, তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে রুপোর বাঁশি নিবেদন করুন। আপনি যদি একটি রূপার বাঁশি কিনতে না পারেন তবে আপনি একটি বাঁশের বাঁশিও কিনতে পারেন। শ্রী কৃষ্ণকে বাঁশি দেওয়ার পর সেই বাঁশিটি আপনার বাড়ির ড্রয়িংরুমে রাখুন।
দম্পত্য সুখ
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ দেখা দিলে জন্মাষ্টমীর দিন একটি বাঁশি আনুন এবং সেই বাঁꦺশিটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণের পর সেই বাঁশিটি আপনার বিছানার কাছে রাখুন। এতে করে আপনার দাম্পত্য জীবন সুখের হবে।
( উপরোক্ত ꦡতথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক ৷ ♕এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত )