শিবের আশীর🌺্বাদ লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন মহাশিবরাত্রি। চলতি বছর ১১ মার্চ মহাশিবরাত্রি পালিত হবে। হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি উৎসব পালন করা হয়। চলতি বছর মহাশিবরাত্রির দিনে গ্রহের বিশেষ সংযোগও বিদ্যমান। জ্যোতিষগণনা অনুযায়ী, এদিন শিবযোগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠা নক্ষত্র থাকছে। চন্দ্র মকর রাশিতে ও সূর্য কুম্ভ রাশিতে বিরাজ করবে।
মহাশিবরাত্রির ২০২১ তিথি ও শুভক্ষণ:
বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ মহাশিবরাত্রি পালিত হবে।
চতুর্দশী তিথি শুরু- ১♛১ মা🎃র্চ, বৃহস্পতিবার বেলা ২টো ৩৯ মিনিটে।
চতুর্দশী তিথি সমা🥃প্ত- ꦇ১২ মার্চ, শুক্রবার দুপুর ৩টে ২ মিনিটে।
নিশিত কাল পুজো- 🦩১১ মার্চ রাত্রি ১২টা ০৬ মিনিট থেকে ১২টা ৫৫ মিনিဣট পর্যন্ত।
প্রথম প্রহর- ১১ মার্চ, সন্ধ্🔯যা ৬টা ২৭ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২৯ মিনি🍎ট পর্যন্ত।
দ্বিতীয় প্রহর- রাত ☂৯টা ২৯ মিনিট থেকে ১২টা ৩১ মিনিট পর্যন꧋্ত।
তৃতীয় প্রহไর- রাত ১২টা ৩১ থেকে ৩𒁃টে ৩২ মিনিট পর্যন্ত।
চতু🦋র্থ প্রহর- ১২ ꧙মার্চ, সকাল ৩টে ৩২ মিনিট থেকে ৬টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত।
মহাশিবরাত্রির ব্রতভঙ্গের শ🌃ুভক্ষণ- ১২ মার্চ সকাল ৬টা ৩৪ মিনিট থেকে দুপুর ৩টে ♕০৪ মিনিট পর্যন্ত।
মহাশিবরাত্রির গুরুত্ব- এদিন পার্বতী ও শিবের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। শিব-শক্তির মিলনের এই পবিত্র দিনে পুজো ও উপবাস করলে বৈবাহিক জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয় ও দাম্পত্য জীবন সুখে কাটে। তাই এদিন স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই শিব ও পার্বতীর পুজো করা উচিত। আবার অবিবাহিত মেয়েরা মহাশিবরাত্রির দিনে উপবাস ও পুজো করলে পছন্দমতো স্বামী পেতে পারেন। আবার কোনও মেয়ের বিয়েতে বাধা উৎপন্ন হলে, মহাশিবরাত্রির পুজো সেই বাধা দূর করে। এই ব্রত পালনের ফলে ব্যক্তির পাপস্খলন হয়💜। ঈশান সংহিতা অনুযায়ী ‘ফাল্গুনকৃষ্ণচতুর্দশ্যাম আদি দেবো মহানিশি। শিবলিঙ্গৎয়োদ্ভূতঃ কোটিসূর্যসমপ্রভঃ। তৎকালব্যাপিনী গ্রাহ্যা শিবরাত্রিব্রতে তিথিঃ।’ অর্থাৎ ফাল্গুন চতুর্দশীর মাঝরাতে আদিদেব ভগবান শিব লিঙ্গরূপে অমিট দ্যূতির সঙ্গে উদ্ভূত হন। এই রাতকে কালরাত্রি এবং সিদ্ধিরাত্রিও বলা হয়। যাঁরা মহাশিবরাত্রির পুজো করেন, তাঁদের উপর সর্বদ🅘া শিবের আশীর্বাদ থাকে। বৈবাহিক জীবন ও পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বিরাজ করে।