এখনও পর্যন্ত ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা নাস্ত্রেদামাসের ভবিষ্যদ্বাণী ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। নাস্ত্রেদামাস তাঁর লেখা লেস প্রোফেসিস গ্রন্থে ৬,৩৩৮টি ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এই গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছিল ১৫৫৫ সালে। ২০২১ সালের জন্যও নাস্ত্রেদামাস একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। সেগুলি কী কী জানুন—১. এক রাশিয়ান বৈজ্ঞানিক এমন এক জীব রাসায়নিক অস্ত্র ও ভাইরাস নির্মাণ করবে, যা মানুষকে জোম্বি বানিয়ে দেবে। এভাবে মনুষ্যপ্রজাতির সর্বনাশ হবে। অনেকেরই দাবি, করোনাভাইরাস চিনের ল্যাবে তৈরি। এবার নাস্ত্রেদামাসের মতে রাশিয়ায় তৈরি ভাইরাস সর্বনাশ ঘটাবে।২. ২০২১-এ মহাপ্রলয়ের সতর্কতাও জারি করেছেন তিনি। তাঁর মতে, ভূমিকম্প, নানা ধরনের রোগ ও মহামারী পৃথিবীর ধ্বংসের পূর্ব ইঙ্গিত। ২০২০ সালের করোনাভাইরাসকে এর সূচনা মনে করা যেতে পারে।৩. ২০২১ সালের সূর্যের ধ্বংসের ফলে পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে। রিসোর্সের জন্য ঝগড়া শুরু হবে ও মানুষ পলায়ন করবে।৪. এ বছরই পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগবে এক বিশালাকৃতি ধূমকেতুর। যা ভূমিকম্প-সহ একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করবে এটি। ফুটন্ত এই ধূমকেতু আকাশে ‘গ্রেট ফায়ার’-এর মতো প্রতিপন্ন হবে। উল্লেখ্য, নাসার বৈজ্ঞানিকরা পূর্বেই পৃথিবীর সঙ্গে ধূমকেতুর ধাক্কা লাগার সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, 2009KF1 নামক এক অ্যাস্টরয়েড ৬ মে ২০২১ সালে পৃথিবীকে ধাক্কা মারতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, ১৯৪৫-এর হিরোশিমায় যে পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটানো হয়ছিল, তার চেয়েও ১৫ গুণ বেশি হবে এই ধূমকেতুর শক্তি।৫. ২০২১-এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে বুদ্ধি ও শরীরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। মানবজাতির রক্ষার জন্য ব্রেন চিপ ব্যবহার করা হবে। এই চিপ ব্যক্তির মস্তিষ্কের বায়োলজিক্যাল ইন্টেলিজেন্স বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।৬. নাস্ত্রেদামাসের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, একটি প্রলয়কারী ভূমিকম্প নিউ ওয়ার্ল্ডকে ধ্বংস করবে। ক্যালিফর্নিয়াকে এর যুক্তি সঙ্গত স্থান বলা যেতে পারে।