Rakhi purnima 2023: ভাগ্যের তালা খুলতে চান? রাখি পূর্ণিমাতে করুন এই প্রতিকার, দূর হবে দারিদ্র্য

Updated: 29 Aug 2023, 06:00 PM IST Anamika Mitra

Rakhi purnima 2023: রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয় পূর্ণিমা তিথিতে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই পূর্ণিমার দিনে কিছু বিশেষ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি করলে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে এবং দারিদ্র্য দূর হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক রাখি বন্ধনের বিশেষ ব্যবস্থা সম্পর্কে।

1/7আগামী ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার পালিত হবে ভাই-বোনের পবিত্র উৎসব রাখি বন্ধন। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনে বোনেরা ভাইয়ের কব্জিতে রক্ষা সূত্র বেঁধে দেয় এবং ভাইরা তাদের বোনদের উপহার দেয়। কিছু জায়গায় ৩০ অগস্ট আবার কিছু জায়গায় ৩১ অগস্ট পালিত হচ্ছে রাখি বন্ধন। ভদ্রা কাল ৩০ অগস্ট রাত ৯ টায় শেষ হচ্ছে, তাই এই উৎসবটি ৩১ অগস্ট একটি শুভ সময়ে উদযাপন করা যেতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্রে দারিদ্র্য দূর করতে রাখি বন্ধনের দিন কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলি করলে জীবনে শুভ প্রভাব ও সম্মান বৃদ্ধি পায় এবং ভাই-বোনের সম্পর্কও মজবুত হয়। আসুন জেনে নিই রাখি বন্ধনের দিনে এই জ্যোতিষশাস্ত্রীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে।

2/7জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাখি বন্ধন এবং পূর্ণিমা দেবী লক্ষ্মী ও চন্দ্রদেবের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই দিন ভাই-বোনেরা শিব ও মা লক্ষ্মীর পুজো করে এবং সন্ধ্যায় জলে দুধ ও চাল মিশিয়ে চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করে। এতে করে চন্দ্রর শুভ প্রভাব পড়বে এবং জীবনে উন্নতির পথ তৈরি হবে।

3/7দারিদ্র্য দূর করতে রাখি বন্ধনের দিন বোনের হাতে গোলাপি কাপড়ে চাল, এক টাকা ও একটি সুপারি বেঁধে দিন। এরপর বোন ভাইকে রাখি বেঁধে তারপর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে জামা, সাদা মিষ্টি ও টাকা দেবে। এরপর গোলাপি কাপড়ে রাখা জিনিসগুলো উত্তর দিকে রাখুন। এতে করে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং অর্থ ও শস্যের অভাব হয় না জীবনে।

4/7বোনেরা যখন ভাইকে রাখি বাধবে, তখন পুজোর থালায় ফিটকিরি রাখুন। রাখি বাঁধার পর ভাইয়ের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে সাতবার ফিটকিরি ঘোরান এবং রাস্তার মোড় বা চুলার আগুনে নিক্ষেপ করুন ফিটকিরিটিকে, এতে অশুভ শক্তি দূরে থাকে এবং চারপাশে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চালিত হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে যে ফিটকিরি নেতিবাচক শক্তি শোষণ করে।

5/7রাখি বন্ধনের দিন একটি লাল রঙের মাটির পাত্র একটি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে তার উপর একটি নারকেল রাখুন এবং তারপর রাখি বাঁধার পর এই পাত্রটিকে প্রবাহিত জলে প্রবাহিত করুন। তারপর ভাই-বোন মিলে গণেশের পুজো করা উচিত। এতে করে সকল বাধা দূর হয় এবং ভাই-বোনের মধ্যে ভালোবাসা বজায় থাকে। সেই সঙ্গে গণেশের আশীর্বাদে বাড়িতে অর্থ ও শস্যের অভাব হয় না, চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতি হয়।

6/7রাখি বন্ধনের দিন ভাই-বোনদের উচিত গরিব-দুঃখীকে খাবার দেওয়া এবং গরুকে সবুজ চারণ খাওয়ানো। আপনি একটি গৌশালায় গরুর সেবার জন্য অর্থ দান করতে পারেন। এতে করে ৩৩ কোটি দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

7/7রাখি বন্ধনের দিন ভাই-বোনেরা পূর্ণিমা তিথিতে উপবাস করে একসঙ্গে দেবী লক্ষ্মীর পুজো করুন। এর সঙ্গে ভোগে জাফরান মিশ্রিত ক্ষীর দিন। এর পর মা লক্ষ্মীর সামনে বোনরা ভাইদের রাখি বেঁধে কনকধারা স্তোত্র পাঠ করুন। তারপর আটটি মেয়েকে ডেকে ওই ক্ষীরের প্রসাদ বিতরণ করুন এবং লাল ওড়না দান করুন। এতে করে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকে এবং জীবনে উন্নতির পথ তৈরি হয়।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

Rakhi purnima 2023: ভাগ্যের তালা খুলতে চান? রাখি পূর্ণিমাতে করুন এই প্রতিকার, দূর হবে দারিদ্র্য

Latest News

Women World Cup 2024 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি