সাইক্লোন দানা আছড়ে পড়ার দিনে বৃহস্পতিবার রাত ভোর তিনি নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে ꦓনজরদারি চালিয়েছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর শুক্রবার দুপুরে রাজ্যে ‘দানা’ বিপর্যয়ের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশাসনকে নানান বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছেন। মমতা বলেন, বিভিন্ন মেডিক্যাল ক্যাম্পে যেন যথাযথ ওষুধ থাকে। সেক্ষেত্রে তিনি সাপের কামড় নিয়ে ‘অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন’ এর কথা তোলেন।
এদিন মমতা ওই বৈঠক থেকে প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশে বলেন, পর্যাপ্ত ত্রাণ দিতে হবে। ‘যেন কেউ না বলে আমি ত্রাণ পাইনি।’ তিনি মেডিক্যাল ক্যাম্প করার কথা বলেন। প্রশাসনকে সাফ জানান, যদি কোনও স্কুলে পড়ুয়াদের বইপত্র নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকা দানা বিপর্যয়ের জেরে, তাহলে তাদের বিনামূল্যে সেই বইপত্র দি🤪তে হবে। এছাড়াও মশার কামড় থেকে যেন ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়ার মতো রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো যায়, তার জন্য প্রশাসনকে সতর্ক হতে হবে। তিনি নির্দেশ দেন টেলিমেডিসিন কাজে লাগানোর জন্য। এছাড়াও সর্দি, ডাইরিয়ার ওষুধ পর্যাপ্ত রাখার কথা বলেন। এছাড়াও সাপ নিয়ে তিনি সতর্ক করেন।
মূলত, সাইক্লোন দানার জেরে রাজ্যের বহু জায়গায় ব্যাপক বর্ষণ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মমতা সকলকে সাবধান করেন সাপ নিয়ে। তিনি বলেন, ‘সাপের ওষুধ যেন প্রত্যেকটা জায়গায় থ𓄧াকে। অ্যান্টিভেনꦏাম ইঞ্জেকশন যাতে পাওয়া যায়' সব দুর্গতস্থানে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'যাতে কেউ মারা না যায় সাপের কামড়ে…শুধু সাগর আর জলপাইগুড়িতে একটা সাপ আছে। কালাচ সাপ আছে, সেটা ছোবল মারলেই এক সেকেন্ডে শেষ হয়ে যায়। ট্রিটমেন্টের সুযোগ পায়না।'
দুর্গত এলাকায় গাছ পড়ে যাওয়া নিয়েও মমতা বেশ🐎 কিছু পরামর্শ দেন।ꩵ দিদি বলেন,' যে গাছ পড়ে গিয়েছে, সেগুলো তুলে লাগানোর সিস্টেম আছে।' মমতা বলেন,' আমি নিজের বাড়িতে দেখেছিলাম এক সময় দু' তিনটে গাছ পড়ে গিয়েছিল। আমি নিজে সেগুলো লাগিয়ে দিয়েছিলাম। বড় বড় গাছ। কিন্তু সেগুলো এখন খুব ভালো আছে। পাঁচ ছ'বছর হয়ে গেল, গাছ পড়ে গেলে তা লাগিয়ে দিলে অনেক সময় হয়ে যায়।'