আমফানের পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু ত্রা⛎ণবণ্টনে দুর্নীতির কাঁটা যে বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর গলায় এখনও আটকে আছে, তা কার্যত সরাসরি বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্শনিক সুরে বললেন, ‘সবাই খারাপ কাজ করলেও আমি করব না।’
প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। মাঝেমধ্যে ধমকও দিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিদের অভাব-অভিযোগও শুনেছেন। প্রায় এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের সেই বৈঠকের শ🌃েষ লগ্নে মমতা বলেন, ‘আইসিদের বলছি, একটু আইন-🐷শৃঙ্খলার দিকে নজর রাখবেন। দীনেশ আছে। আপনারা সকলে ভালো করে কাজ করবেন। বিডিওরা একটা সিস্টেমে কাজ করছেন। আজ নতুন করে কিছু বললাম না। কোভিডের মধ্যে দিয়েও অনেক চেষ্টা করছেন।’
একইসঙ্গে প্রশাসনিক আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। এমনকী আমফানের পর পাঁচ মাস হতে চললেও এখনও যাঁরা সাহায্য পাননি, তাঁদের সাহায্য করার বিষয়টি দ্রুত মিটিয়ে নিতে বলেন। পুরো বিষয়টি যে তাঁর নজরে আছে, তাও বুঝিয়ে দেন মমতা। বলেন, ‘মেদিনীপুর জেলা ঐতিহাসিক জেলা। মেদিনীপুর জেলার গর্ব স্বাধীনতা সংগ্রামের গর্ব। এটাকে মাথায় রেখে যে কাজ পড়ে আছে, যে কাজ পড়ে আছে, যে কাজ নেওয়া হচ্ছে, প্রত্যেকটা কাজ চটপট হবে। আর আমফানে যাঁরা এখনও ত্রাণ পাননি, অথচ পাওয়ার অধিকারী। সেটা আমায় এসপি একটা তালিকা পাঠিয়েছিল। দেখে নিয়ে আমি জেলাশাসককে বলব, সেই তালিকা দেখে নিতে, যাতে কেউ ব🎉ঞ্চিত না হন। সবাই খারাপ কাজ করলেও আমি করব না। আমার নিয়ম হচ্ছে, আমি মানবিক হব। আমি রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করব। একজন খারাপ বললে আমি খারাপ হব কেন। মানুষ সবাই সমান। মনুষ্যত্বই মানুষের সবথেকে বড় পরিচয়।’
আর সেই দার্শনিক মমতার আড়ালে আসলে আমফান দুর্নীতির অস্বস্তি খুঁজে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মত💞ে, আ⛦মফানের ত্রাণ বণ্টনকে ঘিরে যেভাবে তাঁর দলের নাম জড়িয়েছে, তাতে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছেন মমতা। তাই আগেও কড়া বার্তা দিয়েছেন। তাতে অবশ্য তেমন কাজ হয়নি। ফলে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, মমতার অস্বস্তি যেন তত বাড়ছে। তাই সুকৌশলে নিজের মুখ তুলে আমজনতাকে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন, দলের কয়েকজনের দুর্নীতিতে জড়ালেও তিনি মানুষের জন্য কাজ করছেন।