আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রথম থেকেই। তবে সেই রিপোর্ট এবং নানান নমুনা কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে তারপরে। যদিও তারপরও বিতর্ক থামেনি। এই আবহে আরজি করে ময়নাতদন্তের মান পরীক্ষায় উদ্যোগী হল সিবিআই। এই আবহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে ১০টি মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। আরজি করে খুন তরুণীর ময়নাতদন্তের আগে এবং পরে যে সব দেহ ব্যবচ্ছেদ হয়েছে, সেরকম ১০টি পিএম রিপোর্ট পাঠাতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। (আরও পড়ুন: 'হꦓিন্দুদের ওপর হামলাকারীরা মুক্ত, কিন্তু...', চিন্ময় প্রভুকে নিয়ে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা ভারতের)
আরও পড়ুন: ২৭ নভেম্বর তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়, বাংলার কোথায় কবে 🌞বৃষ্টি? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর
রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই ১০টি রিপোর্টের সঙ্গে আরজি করে নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হবে আরজি করে খুন তরুণীর পিএম রিপোর্টের সঙ্গে। বোঝার চেষ্টা করা হবে, আরজি করের ময়নাতদন্তে ইচ্ছাকৃত কোনও গাফিলতি ছিল কি না। এছাড়া অন্যান্য হাসপাতালের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের সঙ্গেও আরজি করের দেওয়া ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ময়নাতদন্ত রিপোর্টে স্বাক্ষর ছিল আরজি কর হাসপাতালের ২ এবং এনআরএস হাসপাতালের ১ চিকিৎসকের। যে রিপোর্টের ছবি সামনে এসেছিল, তাতে সই রয়েছে আরজি কর ফরেন্সিক বিভাগের প্রফেসর ডঃ অপূর্ব বিশ্বাস, আরজি কর ফরেন্সিক বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডঃ রিনা দাস এবং এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডঃ মলি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিগ🐼ত নিধন চলছে! চিন্ময় প্রভুর মক্তির দাবি 🍌শাহাবাগ আন্দোলনের নেতার)
আরও পড়ুন: 🧔RG কর আন্দোলনের নামে তোলা টাকা খরচ অন্য খাতে, দাবি জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসꩵিয়েশনের
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, মৃত চিকিৎসকের শরীরের কোনও হার ভাঙেনি। নির্যাতিতার শরীরে ১৪ জায়গায় ক্ষত ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথা, গলা, হাত, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত ছিল নিহত চিকিৎসকের। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্যাতিতার ওপরে যৌন হেনস্থা হয়েছে, তা স্পষ্ট। যৌনাঙ্গে জোর করে 'পেনিট্রেশন' করা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। এদিকে যৌনাঙ্গে সাদা ঘন তরল পদার্থ মিলেছে। এদিকে তাঁর ফুসফুসে রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলে উল্লেখ আছে রিপোর্টে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। শুধু গলা টিপে ধরাই নয়, মুখও চেপে ধরার প্রমাণও মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। (আরও পড়ুন: পকেটে আগুন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের, এরই মাঝে 🐻ডিএ বাড়ল পুরকর্মীদের)
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? জল্পনার মাঝেই পদত্যাগ একনাথ শিন꧑্ডের
এদিকে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আরজি কর কাণ্ডে তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা দাবি করেছেন, ময়নাতদন্তের যে ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে, তার মান খুবই খারাপ। এই আবহে মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ভাবে বোঝাই যাচ্ছে না। এই আবহে প্রশ্ন উঠছে, এই ত্রুটি কি ইচ্ছে করে ঘটানো হয়েছে? সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মনে তাই সন্দেহের উদয় হয়েছে, সত্যিকে আড়াল করতেই কি ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ায় ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে? এদিকে সেদিন তরুণী চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছিল সূর্যাস্তের পর। সেখানে পোস্টমর্টেম রুমের আলো কম ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে আরও দাবি করা হচ্ছে, খুবই দ্রুত (১ ঘণ্টা ১🐬০ মিনিট) এই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। সেদিন আরজি করে মোট আটটি দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। এবং তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তেই নাকি সবচেয়ে কম সময় লেগেছিল।