সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শ💜ুরু হয়েছে। সংসদের দুই কক্ষেই তা চলবে। রাজ্যসভা এবং লোকসভা সরগরম হয়ে উঠবে নানা ইস্যুতে। কিন্তু এই আবহে রাজ্যসভার নির্বাচন ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আজ, মঙ্গলবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। দেশের চার রাজ্যের ৬টি ফাঁকা আসনের জন্য এই নির্বাচন হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসে রাজ্যসভার এই ৬টি আসনের নির্বাচন হবে। তার মধ্যে বাংলার একটি আসনও আছে। ফলে ওই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস কাকে পাঠায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে এই ৬টি আসনের মধ্যে তিনটি রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। বাকি তিনটি হচ্ছে— ওড়িশা, বাংলা এবং হরিয়ানা। জহর সরকার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায়𝄹 বাংলার একটি আসন খালি হয়েছে। সেখানে এবার কাকে আনা হবে তা এখন প্রকাশ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সোমবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রার্থী নাম ঠিক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সেটা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২০ ডিসেম্বর রাজ্যসভার ৬টি আসনে উপনির্বাচন হবে। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একটি আসন আছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট হবে। আর ওইদিনই গণন♈া হবে বিকেল ৫টা থেকে।
আরও পড়ুন: নলবাহিত জল কতদূর পৌঁছল? কাজের অগ্রগতি জানতে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে শীতকালীন অধিবেশনে একজন সাংসদ কম নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেখানে শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়ার দিন রাজ্যসভার ভোট এবং গণনা হবে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূল কংগ্রেসের এখন যা বিধায়ক এবং সাংসদ সংখ্যা তাতে অনায়াসেই আসনটি জিতে নেবে ঘাসফুল শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মনোনয়ন পেশ করার শেষ তারিখ ১০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনি করা হবে ১১ ডিসেম্বর। ১৩ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে। রাজ্যসভার এই ছয় আসনের সাংসদরা নানা ক♏ারণে ইস্তফা দেন। তার ফলেই♔ শূন্যস্থান তৈরি হয়।
এছাড়া বাংলায় আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর ইস্তফা দেন জহর সরকার। তার প্রতিবাদেই জহরবাবু ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে সেটা জানিয়ে দেন। তাঁর ইস্তফার পর সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১২। বাংলার ১৬টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে একটি খালি হয়ে যায়। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও বাংলা থেকে বিজেপির দুই এবং বামেদের একজন রাজ্যসভা সাংসদ আছে। জহর সরকারের জায়গায় এবার তৃণমূল কং๊গ্রেস কাকে রাজ্যসভায় সেটা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।