ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যাত্রীর। এছাড়াও, আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। ঘটনাটি 🌄ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের নতুনগ্রাম পেট্রোল পাম্পের কাছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই এলাকায় বাসটি উলটে যায়। আর একটু হলেই খালের জলে পড়ে যেত বাসটি। তবে বাসের গতি বেশি থাকায় কোনওভাবে খালটি পেরিয়ে বাসটি উলটে যায়। ফলে সেক্ষেত্রে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বাসের যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: বেলেঘাটায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২৯
জানা গিয়েছে, ডিভিসির ওই খালটি প্রায় ২০ ফুট চওড়া ছিল। ওই খাল পেরোনো মাত্রই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে আচমকা 🔴বাসের গতি বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা। বাসটি এদিন কলকাতার ধর্মতলা থেকে বহরমপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বাসে প্রায় ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশ যাত্রীর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছেন না যাত্রীরা। তবে মনে করা হচ্ছে বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সেই কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক যাত্রীর কথায়, বাসটির গতি বেশি থাকার ফলেই সেটি ২০ ফুটের খাল পেরিয়ে যেতে পেরেছে। তা না হলে জলে পড়লে অনেকের মৃত্যু ঘটতে পারত। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নতুন গ্রামের মানুষ এসে যাত্রীদের উদ্ধার কাজ শুরু করে দেয়। খবর গেলে টহলদারি পুলিশ এসে গুরুতর জখমদের উদ্ধার করে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ, দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ এবং বর্ধমান সদর থানার পুলিশ।আহতদের তড়িঘড়ি বাস থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে মারা যান এক যাত্রী। ওই যাত্রীর নাম শেখ এনামুল। তিনি মঙ্গলকোটের ন'পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।বাকিদের চিকিৎসা চলছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। বাসটಌিকে দুটি ক্রেন দিয়ে উদ্ধার করে ভাতার থানার পুলিশ। আলামত আলি নামে এক যাত্রী জানান, তারা ১০ জন একসঙ্গে কেরল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কলকাতা বহরমপুরের ওই বাসে উঠেছিলেন। দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে আচমকা বাসের গতি বেড়ে যায়। তারপরে বাসটি উলটে যায়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তার সঙ্গে থাকা আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।