জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে তাণ্ডব চালালো বাইসন। এই বন্য প্রাণীর হামলায় মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ২ ꦏনম্বর ব্লকের প্রেমেরডাঙা এলাকায় । বাইসনের হামলায় মৃত প্র🔯ৌঢ়ের নাম হল নৃপেন বর্মণ। এছাড়া আহত হয়েছেন শঙ্কর বর্মন নামে এক ব্যক্তি। তিনি পূর্ব শিলডাঙা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয় স্থানীয়দের মধ্যে। তবে জানা যাচ্ছে, যে এলাকায় বুধবার বাইসনের দল তাণ্ডব চালিয়েছে সেখান থেকে জঙ্গল ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে জঙ্গল থেকে এত দূরে এসে যেভাবে বন্যপ্রাণীরা তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন: প্রাত♑ঃভ্রমণে বেরিয়ে বাইসনের গুঁতোয় প্রাণ গেল𝔉 মহিলার, আতঙ্ক এলাকায়
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৬ টা নাগাদ বাড়ির বাইরে গরু বাঁধছিলেন নৃপেন বর্মন। সেই সময় একটি বাইসন তার ওপর হামলা চলায়। ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়♛ে যাওয়া হয় নিশিগঞ্জ গ্রামীণ হাসাপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর নৃপেনকে রেফার করা হয় কোচবিহারের হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় নৃপেনের। তাঁর স্ত্রী জানান, স্বামী বাড়ির বাইরে গরু বাঁধার সময় বিকট আওয়াজ শুনতে পান। বেরিয়ে দেখেন তাঁর স্বামী মাটিতে পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি বাইসন গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে । রাস্তায় যাকে পেয়েছে তার উপরেই হামলা চালিয়েছে বাইসনগুলি। ꧟আহত শঙ্কর জানান, তিনি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার একটি বাইসন এসে তার ওপর হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি রাস♔্তার পাশে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। বন দফতরের এডিএফও বিজন নাথ জানান, ওই এলাকায় দু’টি বাইসন বেরিয়েছিল। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘুম পাড়ানি গুলি ছুড়ে বাইসন দুটিকে কাবু করে।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, যে তিনটি বাইসন ঢুকে পড়েছিল গ্রামে। আরও একটি বাইসনের খোঁজ চলছে। তবে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাদের বক্তব্য, কোনওদিন এভাবে এলাকায় বাইসনের তাণ্ডব দেখা যায়নি। পশুপ্রেমী সংগঠনের বক্তব্য, রাতের অন্ধকারে তোর্সা পরাবর সেগুলি গ্রামের প্রবেশ করতে পারে। তাদের অভিযোগ, খাবারের খোঁজে এইসব বন্যপ্রাণী জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এদের গম, ধান, ভুট্টা ওপর বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সেই লোভেই তারা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। আর এর ফলে আক্রান্ত হচ্ছেন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার মানুষজন। প্রাণহানির সংখ্যাও বাড়ছে। অবিলম্ব🌠ে এই সমস্যার সমাধান করার প্র𝓀য়োজন বলে দাবি পশুপ্রেমীদের।