একজন দুজন নয়, একেবারে ১১জনের মৃত্যু বজ্রপাতে। মালদায় একেবারে মর্মান্তিক ঘটনা। একের পর এক ব্যক্তির মৃত্যু বজ্রাঘাতে। বৃহস্পতিব❀ার দুপুরে আচমকাই ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় মালদায়। এদিকে মালদা মানেই আমের জেলা। আর ঝড় বৃষ্টি মানেই আম পড়ে টপাটপ।সেই ঝড় বৃষ্🦩টির মধ্য়েই আম কুড়োতে গিয়েছিল কয়েকজন। কিন্তু আর ফেরা হল না।
পুরাতন মালদার সাহাপুরে একই সঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আম বাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিলেন তারা।মৃতের নাম চন্দন সাহানি( ৪০), রাজ ম꧟ৃধা( ১৬) ও মনোজিৎ মণ্ডল( ২১)। মানিকচকে বাজ পড়ে এক নাবালক ও এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। হাড্ডাটোলার বাসিন্দা অতুল মণ্ডলও মারা গিয়েছেন বাজ পড়ে। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি আম বাগানে আম গাছ দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। আবার চৌকি মিরদাদপুর এলাকায় শেখ সাব🦩রুল নামে ১১ বছর বয়সি এক কিশোরের মৃত্য়ু হয়েছে বজ্রপাতে।
সব মিলিয়ে মালদায় ১১জনের মৃত্যু হ🐷য়েছে বজ্রপাতে।&nbs♏p;
আবার গাজোলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহার মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে। একাধ🌱িক ব্যক্তি আহত হয়েছে মালদায়। তাদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হ♒াসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাসিন্দারা বলেন, গত কয়েকদ🍨িন ধরেই এলাকায় প্রচন্ড গরম ছিল। আচমকা আকাশ কালো করে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গেই বাজ পড়া শুরু হয়।
এক বাসিন্দা বলেন, ধান কাটার কাজ চলছিল। ত্রিপল দিয়ে ধান ঢেকে ওরা গাছ তলায় বসেছিল। সেই সময় বাজ পড়ে। আমার জামাইবাবু, ভাই আহত হয়েছে। অপর এক যুবক বলেন, আমরা আম কুড়োচ্ছিলাম। এমন সময় বাজ পড়ল। আর কিছু মনে নেই। অপর এক বাসিন্দা বলেন, দুপুর আড়াইটের সময় বাগানে গিয়েছিলাম। সেই সময় বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। পরে গিয়ে দেখি সেখানে চারজন পড়ে রয়েছে। একজন মারা꧟ গিয়েছে। তিনজন আহত হয়েছে। গামছা দিয়ে ওদের মাথায় জল দিলাম। ছেলেটা উচ্চমাধ্য়মিক দিয়েছিল। সে মারা গিয়𓆉েছে। ওর সঙ্গে আরও তিনজন ছিল।
এক কিশোর বলেন, আমি আমবাগানে ছিলাম। অনেকে ছিল। সবাই আম কুড়োচ্ছিল। আচমকা বাজ পড়ল। এরপর একজন মারা যায়। কীভাবে কী হল কিছুই বুঝতে🐲 পারলাম না।
এদিকে মাঝেমধ্য়েই কালবৈশাখী হচ্ছে। আকাশ কালো করে মেঘ করছে। ত𒆙ার মাঝে বাজও পড়ছে। সেক্ষেত্রে সাবধান। বাজ পড়ার সময় খোলা জায়গায় থাকলেই বিরাট বিপদ হয়ে যেতে পারে।