কয়েক সপ্তাহ আগে নিম্নচাপে অতিবৃষ্টির জඣেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তার উপর ডিভ♏িসি থেকেও প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছিল। যার ফলে রাজ্যের ৮টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন বহু মানুষ। অসংখ্য ঘরবাড়ি, চাষের জমি চলে গিয়েছিল জলের তলায়। এই ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষি দফতরের কাছে রিপোর্ট আসে। তাতে জানা গিয়েছে, এবারের বন্যায় কমপক্ষে ৬ লক্ষ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুই দশ♓কে বন্যায় বাংলায় মৃত্যু কত, সংসদে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ লক্ষ ৩৭ হাজার হেক্টর কৃষি জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে এই বাবদ মোট ১১০৯ কোটি টাকা কৃষি পণ্যের ক্ষতি হয়েছে। এত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন কৃষি দফতর। তবে এই অবস্থায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কৃষি দফতর। ইতিমধ্যেই ঠিক হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক🥂দের শস্য বীজ দেওয়া হবে বিনামূল্যে। যার ফলে চাষিরা জমিতে চাষ করতে পারবেন। এর জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এখন খারিফ মরসুম চলছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরিষা, খেসারি ডাল, মুসুর ডাল ও ভুট্টඣার বীজ দেওয়া হবে। জল নামার পরে যাতে দ্রুত জমিগুলিতে চাষ করা যায় সেই ব্যাপারে তৎপর হয়েছে কৃষি দফতর।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধান চাষের। এছাড়াও কলাই চাষ, বাদাম চাষ এবং সবজির জꦯমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ৯১ হাজার হেক্টর আমন ধান চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কলায় চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৩০০০ হেক্টর, বাদাম চাষের জমি ৬০০০ হেক্টর এবং সবজি চাষের জমি ৫০০০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মানে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
অবশ্য খারিফ মরশুমে ধান চাষিরা যেহেতু রাজ্য সরকারের বীমার আওতায় থাকেন তাই বিমার প্রিমিয়ামের পুরোটাই রাজ্য সরকার দেবে। এরজন্য বীমা সংস্থা যাতে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেয় সে বিষয়ে সক্রিয় হয়েছে কৃষি দফতর। তাছাড়া এই বন্যায় ক্ষতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও কেন্দ্রের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানালে কতটা সেই ꦡটাকা মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আধিকারিকরা। কারণ তাদের বক্তব্য, এর আগে বেশ কিছু জেলায় বন্যায় কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল তবে সেই টাকা কেন্দ্রের তরফে দেওয়া হয়নি।