ডুয়ার্সের চা বাগানে বজ্রপাতে আহত হলেন ৫ মহিলা শ্রমিক। চা বাগানে পাতা তোলার কাজ করছিলেন তাঁরা। আচমকাই বাজ পড়ে। তাতে আহত হন ৫ জন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি ৪ জন এখনও হাসপাতালে ভরতি। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।বুধবার সকালের দিকে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও দুপুরের দিক থেকে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করে। তখন ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের ইংগু চা বাগানে কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন মহিলা শ্রমিক। আচমকাই বাজ এসে পড়ে। তাতে ৫ জন মহিলা শ্রমিক আহত হন। এই ৫ জন শ্রমিক হলেন, লীলাবতী ওঁরাও (৩৮), কবিতা রাউতিয়া (৩৪), সন্তু লেপচা (৩৪), সঙ্গীতা ছেত্রী (৩৫) ও কল্পনা লেপচা (৪৫)। এই ৫ জনকে প্রথমে আহত অবস্থায় মঙ্গলবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর লীলাবতীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ৪ জনকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে, চা বাগানের মন্দির লাইন শ্রমিক মহল্লায়। বাকি ৪ জনের বাড়ি আশেপাশের এলাকাতেই। রাজ্যে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর থেকে ক্রমেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে ডুয়ার্সের চা বাগানগুলি। এইরকম একটা সময়ে মারাত্মক একটা ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেনি অনেকে। চা বাগানের শ্রমিক নেতা সুরেশ কাণ্ডুলনা জানান, সবাই চা পাতা ওজন করার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। সেইসময়ই এই মারাত্মক ঘটনাটি ঘটে। এর আগেও চলতি বছরেই বাজ পড়ে এই রাজ্যে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গোটা রাজ্যেই বাজ পড়ে মৃত্যুর প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাতাসে দূষণের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারণেই এই ধরনের বাজ পড়ার ঘটনা ঘটছে।