দেশে চরম আবহাওয়া নিয়ে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট’ (সিএসই) নামে একটি সংস্থা। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘স্টেট অফ এক্সট্রিম ওয়েদার’- এ দেশব্যাপী চরম আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগজনক ছবি তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাতেও চরম আবহাওয়ার কারণে ব্যাপক হয় ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এবছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৩৬ দিন চরম আবহাওয়া দেখা গিয়েছে বাংলায়, যার ফলেꦡ এই সময়ের মধ্যে বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের। এছাড়াও ক্ষতি হয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি হেক্টর জমির ফসলের। তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত, বৃষ্টি, বন্যা ভূমিধসের কারণে এই মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত শুক্রবার এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, এবছরের চরম আবহাওয়া গত বছরের ৩ পয়েন্ট বেশি।
আরও পড়ুন: 'ম্য💙ไান মেড বন্যা! ব্যাপারটা দেখুন' ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন মমতা
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে গোটা দেশে ২৫৫ দিন চরম আবহাওয়া দেখা গিয়েছে, তা🃏তে ৩,২৩৮ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির দিক দিয়ে মহারাষ্ট্র, বিহার এবং অন্ধ্র প্রদেশের পরে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা। সিএসই-এর মহাপরিচালক সুনিতা নারায়ণ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আগে এই ধꦫরনের চরম আবহাওয়া প্রতি শতাব্দীতে একবার দেখা যেত। তবে এখন প্রতি পাঁচ বছর বা তারও কম সময়ে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনের গবেষণা পরিচালক রিচার্ড মহাপাত্র বলেছেন, সিএসই রিপোর্ট শুধুমাত্র চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলিই নয়, তারফলে ক্ষয়ক্ষতিও প্রকাশ করেছে।
সিএসই-র গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, যে প্রতিবেদনটি জলবায়ুর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন তুলে ধরেছে। এই চরম ঘটনাগুলির প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজন। বিশেষ দুর্যোগ মোকাবিলা থেকে অন্যান্য আনুসঙ্গিক বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলের প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, বন্যা ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা প্রয়োজন, ভবিষ্যতের ঝড়ের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন। আরও বেশি করে সবুজায়ন করা প্রভৃতি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে কীভাবে অনেক দেশ এই জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১২৩ বছরের মধ্যে ২০২৪ সালের জানুয়ারি ছিল ভারতের নবম শুষ্কতম জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা র𓃲েকর্ড করা হয়েছে।