কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ পুরসভায় অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দলের ৭ জন কাউন্সিলর অনাস্থা আনলেন। এই পুরসভায় ৯ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। তার মধ্যে🥀 ৭ জন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। মহকুমা শাসক অতনু কুমার মণ্ডলের কাছে এবিষয়ে লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছেন কাউন্সিলররা। আইন মেনে পদ🌱ক্ষেপ করা হবে বলে মহকুমা শাসক জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভায় দু🍎র্নীতি রোধে নতুন নজরদারি, সব ফাইল যাচাই কমিশনার ও সেক্রেটারির
মেখলিগঞ্জ পুরসভার ৯ আসনে জয়ী হয়ে স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সম্প্রতি চেয়ারম্যান কেশব দাসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ওই ৭ জন কাউন্সিলর। তাদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে পুরপ্রধানের কারণে তারা নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পুরপ্রধান কখনও তাদের কথা শোনেন না। এর ফলে সাধারণ মানুষকে পুর পরিষেবা পেতে গিয়ে হয়রানি হতে হচ্ছে। এই সমস্ত কারণে পুর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা অনার সিদ্ধান্ত নেন কাউন্সিলররা। ওই কাউন্সিলরদের বক্তব্য, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের কোনও ক্ষোভ নেই, পুর প্রধানের🅠 অসহযোগিতার কারণে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।𒊎
কাউন্সিলরদের অভিযোগ, পুর প্রধান নিজের ক্ষমতা বলে কাউন্সিলরদের না জানিয়ে এককভাবে অনেক সিদ্ধান্ত নেন। বহু মানুষ এর ফলে পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সেই কারণেই তার বিরুদ𝐆্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে। কাউন্সিলরদের আরও বক্তব্য, বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকেই পুর প্রধানের বিভিন্ন নীতির কারণে সমস্যা হচ্ছে। প্রতিটি বোর্ড মিটিংয়ে পুরপ্রধান কাউন্সিলারদের সঙ্গে কার্যত ঝগড়া করেন। কারও বক্তব্যকে তিনি গুরুত্ব দেন না। এমনকী দরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন ধরনের শংসাপত্র পেতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়। এই সমস্ত কারণে তারা কেশব বাবুকে পুর প্রধান হিসেবে চাইছেন না। যদি কেশব বাবু জানান, অনাস্থা আনলে আস্থা ভোট হবে। প্রত্যেকেই নিজের ভোট দেবেন। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, তিনি অনাস্থার বিষয়ে চিঠি পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। আপাতত এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সরগরম মেখলিগঞ্জের রাজনৈতিক মহল।