বর্ষাকাল আস🤪তেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হতে শুরু করেছে মানুষ এবং পশুর। এই ঘটনা বেড়ে চলায় প্রশাসনের মাথায় হাত পড়েছে। দু’দিন আগেই বাবা–ছেলের একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে🤡 বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। এবার এক হনুমানের শাবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ল। এই ঘটনায় এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। হুগলি জেলার চুঁচুড়া এলাকার গঙ্গাপারে ময়ূরপঙ্খী ঘাট সংলগ্ন একটি পার্কে রোজই খেলা করে হনুমানের দল। সেখানে শাবক হনুমানেরা বেশি থাকে। আজ, শুক্রবার সেখানেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে এক পবনপুত্রের শিশু।
এদিকে এই পার্কে বড় হনুমানের সঙ্গে থাকে তাদের শাবকরাও। বট, অশ্বত্থ গাছের উপরে উঠে তারা খেলায় মেতে ওঠে। বাদাম, বিস্কুট থেকে শুরু করে ফলমূল যা পায় তাই খায় তারা। আবার স্থানীয়রা যা ভালবেসে খেতে দেন সেগুলিও খায় তারা। আজ, শুক্রবারও তাই চলছিল—খেলার সঙ্গে খাওয়া। কিন্ত🐷ু ওই পার্কে খেলতে খেলতেই ব🌳িদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক হনুমান শাবক। তখন চিৎকার জুড়ে দেয় বাকি হনুমানরা। বড় হনুমান থেকে শাবক হনুমান সবাই তীব্র স্বরে চিৎকার শুরু করে। তখন স্থানীয় কয়েকজন এসে সেবা করা শুরু করেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে খেলছিল হনুমানরা। আর তখনই ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়ে শাবক হনুমান। এমনকী তার শরীরের একটা অংশ ঝলসে যায়। এই অবস্থায় মা হনুমা൲ন সেখানে এসে বসে থাকে। আর চারিদিকে তাকাতে থাকে। আসলে শাবকের চিন্তায় তখন চারিদিক তাকাচ্ছিল। এটা স্থানীয় মানুষজনের নজরে আসে। তড়িঘড়ি হনুমান শাবকটিকে তুলে নিয়ে শ☂ুশ্রুষা শুরু করা হয়। কেউ কেউ দুধ মধু মিশিয়ে খাওয়ানো শুরু করেন। শুধু তাই নয়, পশু চিকিৎসকের পরামর্শে বেটনিসল ওষুধও খাওয়ানো হয়।
আরও পড়ুন: আজ বিকেলেই বসবে মেডিক্যাল বোর্ড, স্যুপ খেয়ে কেমন আছ🔯েন বুদ্বদেব ভট্টাচার্য?
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই খবর চাউর হতেই চুঁচুড়া পুরসভার কর্মী শীলা দাস পুরসভায় খবর দেন। তিনি নিজে একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্য। তিনি বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে খেলার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বাচ্চা হনুমান। তাকে শুশ্রূষা করা হয় এবং চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ওষুধ দেওয়া হয়। বাঁচবে কিনা বলা যাচ্ছে না।’ খবর পেয়ে দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর জয়দেব অধিকারী। তিনি বলেন, ‘শহরে পশুদের ভর্তি রেখে চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থ𒅌া না থাকায় আপাতত শীলার বাড়িতেই রাখা থাকবে শিশু হনুমানকে। সুস্থ হলে আবার তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে তার মায়ের কাছে।’