বিষাক্ত সাপে কাটার পরও নাবালিকাকে সারিয়ে তুলতে নেওয়া হয়েছিল ঝাড়ফুঁকের আশ্রয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। ফলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল প্রথম শ্রেণির এই ছাত্রী। নাবালিকার মৃত্যুতে এলাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হাবিবপুরে কানতুর্কা গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর এলাকায়। নাবালিকার নাম বর্ষা মার্ডি (৬)। বর্ষা এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবার সূত্রে খবর, আর পাঁচটা দিনের মতো রাতে মায়ের সঙ্গে বিছানায় শুতে যান বর্ষা। সকালে পরিবারের লোকেরা অনেক ডাকাডাকি করেও বর্ষার কোনও সাড়াশব্দ পাননি। তখনই পরিবারের সদস্যরা দেখেন, একটি বিষাক্ত সাপ বিছানায় লুকিয়ে রয়েছে। বিছানায় সাপ দেখে রীতিমতো আঁতকে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। তখন তাঁরা বুঝে যান, বর্ষাকে সাপে কেটেছে।এরপর পরিবারের সদস্যরা বর্ষাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে না গিয়ে চলে যান ওঝার কাছে। এক ঘণ্টা এভাবেই সময় নষ্ট হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে ঝাড়ফুঁকের পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে এরপর বুলবুলচণ্ডী আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।