আর কোনও রাখঢাক নয়। এবার সরাসরি একে–৪৭ রাইফেল চেয়ে আবেদন করলেন এক ব্যক্তি। তাও আবার খোদ জেলাশাসকের দফতরে। ইমেলের মাধ্যমে এই আবেদন করা হয়েছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে জেলাশাসকের। ওএমন আবেদন যে আসতে পারে তা তিনি কোনওদিꦜন কল্পনাও করেননি। আবেদনটা এসেছিল ই-মেলে। আবেদনকারী ‘একে–৪৭’ রাখতে চান!
ঠিক কী ঘটেছে মেদিনীপুরে? জেলাশাসকের দফতর সূত্রে🉐 খবর, ‘একে–৪৭’ রাইফেল নিজের কাছে রাখতে চেয়ে সরাসরি পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনকে ইমেল করেছেন এক ব্যক্তি। যদিও সেই আবেদনপত্রে ওই ব্যক্তির কোনও ফোন নম্বর নেই। তবে ইমেল আইডি থেকে প্রাপ্ত সূত্র ধরে খোঁজখবর করা হয়েছে। সেই সূত্রে যে নাম উঠে এসেছে তা হল, মৌসিম পাহান। যার বাড়ি সম্ভবত খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকায়।
ঠিক কী লিখেছেন ইমেলে? ওই ব্যক্তি জেলাশাসক রশ্মি কমল–ꦬক🍌ে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, ‘আগে আমার আচরণ অসামাজিক ছিল। আত্মীয়রাই আমাকে ভুল পথে চালিত করেছিল। এখন আমি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছি। কিন্তু ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে একে–৪৭ রাইফেল রাখতে চাই। প্লিজ ম্যাম, একটু ভেবে দেখবেন!’ এই ইমেল পেয়েই তোলপাড় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের অফিস।
উল্লেখ্য, ‘একে–৪৭’ অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। এই অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি রাশিয়ায়। আগে শুধুমাত্র সেনাবাহিনীতেই এটি ব্যবহৃত হতো। পরে তা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের হাতে চলে যায়। এই রাইফেল দিয়ে অনেক আক্রমণ করেছে জঙ্꧋গিরা। প্রয়াত শীর্ষ মাওবাদী নেতা কিষেনজির পিঠে ঝোলানো থাকত একে–৪৭ রাইফেল। জঙ্গলমহলের মানুষজন তা দেখেছেন।