পরকীয়া সম্পর্ক। প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে ছিল গ্রামের গৃহবধূর। কিন্তু হঠাৎই সেই যুবক চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন। আর তারপর সব রোষ গিয়ে পড়ল গ্রামের গৃহবধূর উপরে। তাঁকে গাছে বেঁধে মারধর করা হল। এমনকী কেটে নেওয়া হল মহিলার চুল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্কের টানাটানিতেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায়।স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন যুবক সুজয় মজুমদার। সুজয়ের মৃতদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় শুরু হয় গৃহবধূর এলাকায়। গৃহবধূর বাড়িতে হানা দেন প্রতিবেশী মহিলারা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাঁধা হয় গাছে। তাঁর চুলও কেটে নেন মহিলারা। এমনকী গলায় জুতোর মালাও পরিয়ে দেওয়া হয়। গাইঘাটা থানার পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে।পুলিশের কাছে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এই মহিলার চরিত্রের ঠিক নেই। আর মৃত যুবক তার মায়ের একমাত্র সন্তান। অনেক কষ্টে সুজয়কে বড় করেছেন। সম্প্রতি ওই গৃহবধূ যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে। আগেও এক যুবকের সঙ্গে মহিলার সম্পর্ক ছিল। এলাকার অনেকের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ওই গৃহবধূর। আর সুজয়ের মৃত্যু জন্য দায়ী এই মহিলা। ওর শাস্তি চাই।পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নেমেছে। যুবকের সঙ্গে এই গৃহবধূর কেমন সম্পর্ক ছিল, কতদিন সম্পর্ক ছিল, সেই সম্পর্কে কোনও অবনতি হয়েছিল কিনা সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ইচাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা মণ্ডল বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটছে সেটা দুঃখজনক। সন্দেহের বশে কাউকে আক্রমণ করা ঠিক নয়। তাই গোটা ঘটনা আমি পুলিশকে জানিয়েছি।’