বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে তাণ্ডব নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখলেন নওসাদ সিদ্দিকি। চিঠিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করার পাশাপাশি কোরানের 'অবমাননা', হত্যার ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ‘ভাইজান’ আব্বাস সিদ্দিকির ভাই তথা ভাঙড়ের বিধায়ক। চিঠিতে ভাঙড়ের বিধায়ক জানিয়েছেন, উৎসবের মরশুমে যেভাবে বাংলাদেশে অযাচিত ঘটনা ঘটছে, তাতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন তিনি। পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর, তাণ্ডব, কোরানের 'অবমাননা', হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। সেই হিংসা রুখতে যে বাংলাদেশ সরকার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে তাঁরা খুশি। সেইসব ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন নওসাদ। সেইসঙ্গে 'ধর্মান্ধতার' ক্ষতিকর দিক চিহ্নিত করে তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সামাজিক ও ধর্মীয় ঐক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হিংসার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে না এলে পুরো ভারতীয় উপমহাদেশেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। দিতে হবে কড়া শাস্তি।এমনিতে দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পুজো মণ্ডপে কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব প্রতিমা ভাঙার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনায় জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। সরকারের দাবি, হাসিনা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই হামলা চালিয়েছে জামাত। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই দশমীতে নোয়াখালিতে ইসকন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ইসকন কর্তৃপক্ষের দাবি, দশমীতে দুপুর দুটো নাগাদ বাংলাদেশের নোয়াখালিতে ইসকন মন্দিরের কাছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ভাঙচুর চালানো হয়। তারপর হামলা চালানো হয় ইসকনের ভক্তদের উপর। ইসকনের প্রতিষ্ঠাতার বইয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙুচর চালানো হয় মন্দিরে। ইসকন কলকাতার সহ-সভাপতি বলেন, ‘জোতনকুমার সাহা এবং পার্থ দাস নামে আমাদের দুই ভক্ত-সহ কমপক্ষে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।’