ঠাকুরবাড়িতে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকেই ঠাকুরবাড়ি চত্বরে তুমুল শোরগোল। আর তিনি ঠাকুরবাড়ি ছাড়তেই উঠল চোর চোর চোরটা স্লোগান।ইদানিং এই স্লোগানের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গিয়েছেন বঙ্গবাসী। শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে মানিক ভট্টাচার্য সবাইকেই শুনতে হয়েছে চোর চোর চোরটা স্লোগান। কখনও আদালতের বাইরে, কখনও আবার হাসপাতালের বাইরে আওয়াজ তুলেছেন সাধারণ মানুষ, চোর চোর চোরটা।তবে এবার সেই স্লোগানই শোনা গেল একেবারে ঠাকুরবাড়়িতে। এদিন ক্যামেরার সামনে অনেকেই চিৎকার শুরু করে দেন চোর চোর চোরটা। ঠিক যেমন এতদিন শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃতরা শুনতেন। এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় এজেন্সি তলব করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তিনি হাজিরা দেবেন কি না সেটা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে এদিন ঠাকুরবাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে বের হতেই মতুয়াগড়ে উঠল চোর চোর স্লোগান। মতুয়াগড়ে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে তিনি যাওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় তুলকালাম। কার্যত মন্দির বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আবার অন্য়দিকে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ তোলেন ঠাকুরনগরে পুলিশ এসে মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট করেছে।এদিকে এই স্লোগান প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পুরোটাই তো বিজেপির সাজানো। ঠাকুরনগর তো দলীয় রাজনীতি করার জায়গা নয়। শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে যখন তৃণমূল চোর চোর স্লোগান দেবে তখন সেটা মিডিয়াতে আসবে তো?টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, জুতো পরে মন্দিরে ঢুকেছিল সিআইএসএফ। তারা মহিলাদের হেনস্থা করেছে। তাদের গয়না ছিনতাই করেছে। অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছেন। ধর্মীয় ভাবাবেগ সম্পর্কে তাদের কোনও শ্রদ্ধা নেই।কুণাল লিখেছেন নিজেদের সাংসদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে মিস্টার অধিকারী দেখিয়ে দিয়েছেন মতুয়ারা বিজেপির রাজনীতির দাবার বোড়ে।নবজোয়ারে বেরিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি ঠাকুরবাড়িতেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে থেকেই সেখানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন শান্তনু ঠাকুর ও মতুয়া ভক্তদের একাংশ। রাজ্যের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলেও সরব হয়েছিলেন তারা। এমনকী একাধিক জায়গায় মমতা ও অভিষেক বিরোধী পোস্টারও পড়ে এলাকায়।আর অভিষেক বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান জুতো পরে ঠাকুরবাড়িতে প্রবেশ করেছে। এই ছবি আমাদের কাছে রয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি নাকি! এটা অবারিত দ্বার। সবার যাওয়ার অধিকার রয়েছে। অভিষেককে আটকাব, আর অমিত শাহকে পা চেটে ঢোকাব। শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, এটা নাকি আমার শেষ যাত্রা। হয়তো তিনি আমার মৃত্যু কামনা করছেন। কিন্তু আমি তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি।