সংসারে অভাব–অনটন লেগেই ছিল। সেটা কাটাতে প্রয়োজন ছিল ভাল রোজগারের। তাই নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে গিয়েছিলেন নতুন কেরিয়ার গড়ে বাড়তি রোজগার করার আশায়। কিন্তু সেই আশা পূরণ হল না। উলটে নিথর দেহ বাড়ি ফিরল ছেলের। এমন আকস্মিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা পরিবারে। মর্মান্তিক এই শোকের ঘটনা ঘটেছে বনগাঁয়। মাত্র ২৬ বছর বয়সের তরুণের এমন মৃত্যু পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারছেন না। এই খবর পেয়ে মৃত শ্রমিকের বাড়ি গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভ𒐪াপতি। তবে একসঙ্গে তিন যুবকের মৃত্যু হয়🌸েছে বনগাঁয় ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে।
এদিকে পরিবার সূত্রে খবর, মুম্বইকে বলা হয় বাণিজ্যনগরী। তাই সেখানেই কাজ করতে গিয়েছিলেন বনগাঁর তিন যুবক। সেখান থেকেই ছেলে পীযূষ হালদার ফোনে তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, ‘বাবা আমি টাকা আয় করে পাঠাবো। তখন ফল কিনে খেও। আর নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রেখো।’ সেই কথা আজও কানে বাজছে 𝓰পীযূষের বাবার। ছেলে আজ নেই। এটা মেনে নিতে পারছেন না। চোখে জল অবিরাম পড়ে চলেছে। আর তা নিয়ౠেই ছেলের মৃতদেহের অপেক্ষা করছেন বৃদ্ধ বাবা। ছেলে পীযূষ হালদারের শোকে কাতর বাবা।
আরও পড়ুন: নিজের গড়েই অধীরকে গো–ব্যাক স্লোগান শুনতে হল, প্🐬রকল্প উদ্বোধন না করেই ফিরলেন
অন্যদিকে পীযূষের বাড়ির পা♑শেই থাকত শংকর। সেও কাজের তাগিদে মুম্বইয়ে যান। সেই যুবক শংকরও আর বাড়ি ফিরবেন না। ফিরবেন না এখানের যুবক মনোরঞ্জন সমাদ্দারও। পর পর বাড়িতে তাই উঠেছে কান্নার রোল। পীযূষ বিবাহিত। তা🅷ঁর পাঁচ বছরের ছেলেও আছে। যে বাবা পীযূষকে দেখেনি অনেকদিন। আজ, বৃহস্পতিবার বাবা বাড়ি ফিরবে। ছেলে দেখতে পাবে। কিন্তু মৃত অবস্থায়। বাবা যে আর ছেলেকে জড়িয়ে ধরবে না। ছোট্ট ছেলে কি এটা বুঝবে? অদৃষ্টের নির্মম পরিহাস আজ গ্রাস করেছে গোটা পরিবারকে।