সুস্থ হওয়ার আশায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে ছুটে যান রোগীরা। সেখানেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল ভেঙে🦄 তাতে চাপও পড়ে মৃত্যু হল এক আদিবাসী যুবকের। মৃত যুবকের নাম সোম কিসকু। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মোল্লাপুর থানার তালোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মাণ বহুতল। তার ফলে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভেঙে পড়ল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানান আদিবাসী জন-জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল গার্ডেনরিচের 'সরু 💛বাড়ি' কার? 🍸এখনও জানে না কলকাতা পুরসভা!
জানা গিয়েছে, স্বাস্থꦅ্য কেন্দ্রের পাশেই ওই যুবক থাকতেন। রবিবার সকালে তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঠিক পাঁচিলের পাশেই অবস্থিত শৌচালয়ে শৌচ কর্ম করতে গিয়েছিলেন। তখনই ওই পাঁচিল ভেঙে পড়ে। ঘটনায় তিনি পাঁচিলের ভগ্নস্তূপেꦐর নিচে চাপা পড়েন। তড়িঘড়ি গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে মল্লারপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি হয়েছে বাম আমলে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা ছিল স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির। তারজেরেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, তারা সকাল সকাল কিছু ভেঙে পড়ার প্রচন্ড শব্দ শুনতে পেয়ে সেখ♊ানে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন, পাঁচিল ভেঙে পড়েছে আর তার নিচে চাপা পড়ে রয়েছে সোম। জানা গিয়েছে, সোম পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি কাটিহারের বাসিন্দা। তবে তালোয়ায় শ্বশুরবাড়িতে তিনি থাকতেন। পাচিলটি দুর্বল থাকায় আজ সেটি সোমের উপর ভেঙে পড়ে।