বহরমপুর বাইপাস তৈরির জন্য ২০১৫ সালে জমি অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। কিন্তু, জমিজটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে সেই কাজ আটকে ছিল। জমি𝔉 অধিগ্রহণের পড়ে বহু কৃষক বাইপাসের জমিতে চাষ করে যাচ্ছ🐓িলেন। ফলে বাইপাস তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই জট কাটার পরেই শুরু হয় বহরমপুর বাইপাস তৈরির কাজ। অবশেষে সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল বহরমপুর বাইপাস। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি এই বাইপাসের। যে বাইপাসের সাহায্যে বহরমপুর থেকে অনায়াসেই উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করা যাবে।
আরও পড়ুন: চিংড়িঘা🌱টা মোড়ে শুরু যান নিয়꧂ন্ত্রণ কেন? এবার অগ্নিপরীক্ষা ট্র্যাফিক পুলিশের
বহরমপুর বাইপাসটি ফোর লেনের হলেও আপাতত একদিকের লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ ভাগীরথীর উপর ꦉদ্বিতীয় সেতুতে ডবল লেনের কাজে এখনও সম্পন্ন হয়নি। ফলে আপাতত একদিকের লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্রুতই এই অংশে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপরে ꧙দুই দিকের লেন খুলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এই বাইপাসের ফলে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ সহজ হবে। তাছাড়া বহরমপুর শহরে যানজটের সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্ত মিলবে।
বহরমপুরে বাইপাস তৈরির পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বলরামপুর থেক🍌ে বাইপাসের রাস্তা শুরু হয়েছে। এটি বহরমপুর শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০০৯ সালে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।এরপর ২০১৫ সালে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বহরমপুর থানার কলাতলা থেকে ফোর লেনের এই বাইপাসের কাজ শুরু হয়েছিল।
তবে নির্মাণ কাজের প্রথমে ত্রুটি থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। সেইসঙ্গে জমি জটেও কাজ আটকে গিয়েছিল। বাইপাসটি শুরু হয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সারগাছি থেকে। বাইপাস খুলে দেওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ। শুক্রবার বিকেলে বাইপাস খুলতেই উৎসাহী মানুষের ঢল নামে। সাধারণত বহরমপুরে যানজট দীর্ঘ দি𒁏নের সমস্যা। এই শহরের মাঝ দিয়ে চলে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক।
এতদিন উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্য বহরমপুর শহরের মধ্যে দিয়ে যানবাহন যাতায়াত করত। যার ফলে যানজট তৈরি হতো। তবে বাইপাস তৈরি হওয়ায় সেই যানজটের সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে বলে মনে করছেন সেখানকার মানুষজন। এই যানজ🙈টের সমস্যা দূর করার জন্য এই রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। ২০০৯ সাল নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সময় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বহরমপুরে বাইপাস রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। প্রায় ১০ বছর পর এই কাজ শেষ হল।